দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ মানেই পাল ও সেন রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা।বিশেষ করে দুই দিনাজপুর ব্যাপী ছিল পাল ও সেন রাজত্বের আধিপত্য।এখানে বসবাসের অন্যতম কারণ ছিল আত্রেয়ী, ব্রাহ্মণী,টাঙ্গন ও পুনর্নভা নদীকে কেন্দ্র করে বিস্তীর্ণ জঙ্গল ও শস্য-শ্যামল ভূমি। পরবর্তীকালে খননকার্যের ফলে আবিষ্কৃত হয় নতুন ইতিহাস। তারমধ্যে অন্যতম 'বানগড়' খননস্থান।
এখানে খনন কার্যের ফলে মধ্যযুগের একটা বিস্তীর্ণ ইতিহাস চোখের সামনে চলে এসেছে। এটি বৃহত্তর পুন্ড্রবর্ধন ভুক্তি প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি অংশ ছিল। চন্দ্র, বর্মণ এবং সেন যুগে মহাস্থানগড় এর রাজধানী ছিল এই স্থানটি। বানগড়ে আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান প্রাক-মৌর্য যুগের বাংলার প্রাথমিক ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে।
দিনাজপুরের আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন, তাঁদের দাবি - বানগড়ের ঐতিহাসিক স্থানটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গঙ্গারামপুরে অবস্থিত। বানগড়ের প্রাচীন শহরটি আঞ্চলিক বিভাগের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করত এবং পূর্বে দেবীকোটা এবং কোটিভারসা নামে পরিচিত ছিল। বানগড়ের ধ্বংসাবশেষ খননের সময় বেশ কিছু প্রাচীন জিনিস পাওয়া গেছে যেমন পোড়ামাটির ফলক, বুরুজ এবং দুর্গ, বুদ্ধের বেসাল্ট মাথা এবং পাল যুগের হিন্দুধর্মের শৈবীয় রূপের নিদর্শন। স্থানীয় একটি সংগ্রহসালায় জিনিসগুলি সংরক্ষন করা হয়েছে।
এমনিতেই দক্ষিণ দিনাজপুর আদিবাসী প্রধান জঙ্গলময় প্রকৃতির মধ্য অবস্থিত।এখানে প্রচুর ফল উৎপাদন হয়। সেই দক্ষিণ দিনাজপুরে থেকে একদিন 'বানগড়' ঘুরে আসুন।ফিরে যাবেই সেও পাল ও সেন রাজাদের স্মৃতির জগতে।