দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই গরমে বেড়াতে যাওয়া মানেই প্রথমেই মনে পড়ে 'দার্জিলিং।কিন্তু প্রবল ভিড়ের কথা ভেবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে আসি। তাই যারা গরম থেকে সাময়িক স্বস্তির জন্য একটু ঘুরতে চাই,আর চাই পাহাড়,জঙ্গল ও লেক তাদের জন্য হোক নতুন ডেস্টিনেশন 'রোহিনী'। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং যাওয়ার পথে ছোট্ট গ্রাম রোহিণী। পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গেলে দেখা মেলে এক সুন্দর হ্রদের। এটাই রোহিণী লেক, যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র। ২০০৪ সালে তৎকালীন দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং এই লেকটি উদ্বোধন করেছিলেন। তারপর থেকে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। এখন রোহিনী অনেক নতুন সাজে সেজে উঠেছে।
এখনো কিছুটা অফবিট ভ্রমণ স্থান বলা যায়। পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়নি এই পাহাড়ি হ্রদে। এবার হ্রদে বোটিং শুরু করায় বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়।এক সময় সাপের উৎপাত ছিল লেক জুড়ে। ফলে, ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। কিছুদিন আগে রাজ্য সরকার কার্শিয়াং থেকে রোহিণী পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরই গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংস্কার করেছে রোহিণী লেক। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে হ্রদটি। এখানে বোটিং চালু করা হয়েছে। এরপর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে দেখা গিয়েছে লেকে। খুব সুন্দর শান্ত শীতল পরিবেশ। অদূরেই ঘন জঙ্গল। আর পাহাড়ের প্রতিটা খাঁজ যেন নতুন খবর নিয়ে আসবে আপনার কাছে।
একদিকে খাদে, অন্যদিকে পাহাড়ের ঢালে চা বাগান। আর মাঝে রোহিণী লেক। প্রায় ২২ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে লেকটি। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেক। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং যাওয়ার পথে এই রোহিণীর উপর দিয়েই যেতে হয়। আর যদি দার্জিলিং দিয়ে যেতে চান, তাহলে এটি ৬৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পাহাড়ের পাকদণ্ডি পথ বেয়ে উঠতে হয় রোহিণী লেকে। রোহিণী হ্রদকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাটা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। চারিদিকে বসার জায়গা এবং বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা তৈরি করা হয়েছে।
যাওয়া - শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে স্বচ্ছন্দে চলে যান রোহিনী।
থাকা - গোটা ৩/৪ হোটেল ও কয়েকটা হোমস্টে আছে। শিলিগুড়ি থেকেই সবগুলো বুক করা যায়। একবার ঘুরে আসলে মন ভালো হয়ে যাবে।