দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘর থেকে মাত্র একটু দূরেই তৈরি হয়েছে এক নতুন সমুদ্র সৈকত - যাকে অনেকেই মিনি গোয়া বলে থাকে। লক্ষ্মীপুর একটা ছোট্ট জনপদ বা গ্রাম বললে ফুল হবে না। সমুদ্র লাগোয়া গ্রাম। তবে এই জায়গাটি প্রথম আবিস্কার করেছিলেন ব্রিটিশ ভারতের ল্যফটেন্যান্ড গভর্নর অ্যান্ড্রু ফ্রেজ। পরে তাঁর নামেই হয়েছিল ফ্রেজারগঞ্জ। এই সমুদ্র সৈকতের কাছেই রয়েছে ঝাউবন। এই সমুদ্র সৈকতে মৎস্যজীদের বাড়িও রয়েছে। এর কাছাকাছি রয়েছে বকখালি। কাজেই লক্ষ্মীপুর সৈকত দেখে বকখালিও ঘুরে বেড়িয়ে আসতে পারেন। লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত বকখালির কাছে। একে ভার্জিন বিচ বলা হয়ে থাকে। এখানে পর্যটক খুব একটা দেখা যায় না। সৈকতের আশপাশে রয়েছে বড় বড় উইন্ড মিল। সেটা সৈকতের সৈন্দর্য অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। নির্জন এই সৈকতে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রয়েছে সুন্দর বসার জায়গা। দোকান বাজারের ভিড় নেই সেখানে। নিরিবিলিতে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। গোয়ার মতই খুব বেশি উত্তাল নয় এই সমুদ্র।
এটা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো বললে ভুল হবে না। তাতে ক্ষতি কি। রোজ রোজ গোয়া যাওয়া তো সম্ভব নয়। তার জায়গায় বরং এই মিনি গোয়ায় বেড়িয়ে আসা অনেক সহজ। গোয়া মানুষ জীবনে একবারের বেশি খুব একটা যেতে পারেন না। একে তো আমাদের রাজ্য থেকে অনেকটা দূর তার উপরে আবার আমাদের মত মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে রোজ রোজ সেটা করা সম্ভব হয় না। সেকারণে আমাদের মত মধ্যবিত্তদের পক্ষে ঘরের কাছে মিনি গোয়াই ভাল। গোয়া বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু সবসময় অতদূরে যাওয়া তো সম্ভব নয়। কিন্তু কলকাতার কাছেই রয়েছে এমন একটি জায়গা যাকে মিনি গোয়া বললে ভুল হবে না। তবে দিঘী-মন্দিরমনি একেবারেই। এটা একেবারে অফরুটের একটি সৈকত । তার পোশাকি নাম লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত
যাওয়া - কলকাতা থেকে বেশি দূরে নয় এই মিনি গোয়া। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নামখানা লোকালে করে আসতে হবে নামথানা স্টেশনে। সেখান থেকে বাসে করে যেতে হবে। বাসে চড়ে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া ব্রিজের উপর দিয়ে চলে আসতে হবে বকখালি। সেখান থেকে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে লক্ষ্মীপুর সৈকতে। বকখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০ মিনিটের হাঁটা পথেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকতে। সেখানে পা রাখলেই মন ভরে যাবে।
থাকা - এখানে এখন পর্যন্ত ২/৩ টে হোটেল ও লজ তৈরি হয়েছে। তবে আপনারা স্বচ্ছন্দে বকখালিতে থেকে ঘুরে আসতে পারেন মিনি গোয়া।
দু'দিন খুব ভালো কাটবে।