দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এক নতুন ট্যুরিস্ট স্পট - বাহাদুরপুর জঙ্গল। খবরে প্রকাশ, এই জঙ্গলকে কেন্দ্র করে নতুন ঘোরার জায়গার প্রস্তাব আসে ২০২০ সালের প্রথমেই। ১৬০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাহাদুরপুর জঙ্গল। ২০২০ সালে ইকো ট্যুরিজমের সম্ভাবনা নিয়ে এই জঙ্গলে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ২০২১ সালে কাজ শুরু করে বন দফতর। কমবেশি ১৭টি প্রজাতির পর্ণমোচী ও চিরহরিৎ গাছ রয়েছে বাহাদুরপুর জঙ্গলে। পরবর্তীতে কালে জেলা পর্যটন করিডর গড়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। সূত্রের খবর, এক দিকে নবদ্বীপ মায়াপুর অন্য দিকে বেথুয়া ও বাহাদুর জঙ্গলকে যুক্ত করে পর্যটনের চতুর্ভুজ গড়তে চাইছে তারা।
পরিকল্পনা যে জঙ্গলের ভেতর তাঁবুতেই রাত্রিবাসের প্রাথমিক ব্যবস্থা হবে। তবে অল্পদিনের মধ্যেই তৈরি হবে সরকারী হোটেল। ঘন জঙ্গলে রোমাঞ্চকর জঙ্গল সাফারি। জঙ্গলের ভিতর তাঁবুতেই রাত্রিবাস! এ সব পেতে আর খুব দূরে যেতে হবে না। ঘরের কাছেই এই ব্যবস্থা শুরু করছে রাজ্য বন দফতর। কৃষ্ণনগর সংলগ্ন বাহাদুরপুর জঙ্গলে মিলবে এ সব সুযোগসুবিধা। সেই সঙ্গে জেলায় বাড়বে কর্মসংস্থানও। এমনটাই আশা প্রশাসনের। অদূর ভবিষ্যতে জলদাপাড়ার মতো এখানেও হাতি সাফারি শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে বন দফতরের। পাশাপাশি, বনাঞ্চলের আশেপাশে থাকা স্থানীয় আদিবাসী, লোক শিল্পীদের নিয়ে একাধিক লোকসাংস্কৃতিক তাঁবু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। থাকবে স্টল, যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি হবে।
সরকারের এই পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। শুধু কষ্ট করে ট্রেনে বা বাসে বা গাড়িতে কৃষ্ণনগর পৌঁছালেই হয়ে যাবে ।