দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতিই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার কামিয়া জানি। সেখানে তিনি মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে যেমন ভিডিয়ো বানান, তেমনই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদের মাহাত্ব্য নিয়েও ভিডিয়ো বানান তিনি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে রাজনৈতিক নেতা ভিকে পান্ডিয়ানের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় কামিয়া জানিকে। হেরিটেজ প্রকল্প ও পুরী মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে তাঁরা কথা বলেন।
এদিকে, এই ভিডিয়ো পোস্ট হতেই বিজেপির তরফে প্রতিবাদ করা হয়। অভিযোগ করা হয় যে জনপ্রিয় ইউটিউবার কামিয়া জানি গরুর মাংস খান। তাঁকে কীভাবে পুরীর পবিত্র জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হল। ওড়িশার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক যতীন মোহান্তি ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারায় ইউটিউবারের গ্রেফতারি দাবি করা হয়। তাদের তরফে আরও অভিযোগ করা হয় যে পুরীর মন্দিরের ভিতরে ভিডিয়ো ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলেন কামিয়া, যা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
বিজেপি নেতা দাবি করেন, “বিজেডি নেতা ভিকে পান্ডিয়ানের সঙ্গে ইউটিউবার কামিয়া জানি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ খাচ্ছেন। এর আগে কামিয়া জানি গরুর মাংস খাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। যারা গরুর মাংস খান, জগন্নাথ মন্দিরে তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য কামিয়া জানির বিরুদ্ধে ২৯৫ ধারায় মামলা দায়েরের দাবি জানাচ্ছি। যদি ওঁকে গ্রেফতার না করা হয়, তবে আমরা আদালতে যাব।”
এদিকে, বিতর্কের পরই ইউটিউবার কামিয়া জানি ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “ভারতীয় হিসাবে আমার লক্ষ্য হল ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। আমি সমস্ত জ্যোতির্লিঙ্গ ও চার ধাম দর্শন করেছি। আমার জগন্নাথ মন্দির দর্শন নিয়ে অদ্ভুত প্রতিবেদন দেখে ঘুম ভাঙল। কেউ আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাননি, তবুও আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি কখনও গরুর মাংস খাইনি। জয় জগন্নাথ।”
অন্যদিকে, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের তরফে কামিয়া জানির প্রবেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও, মন্দিরে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের প্রসঙ্গে বলা হয়, “কোনও একটি রাজনৈতিক দল একজন ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সারের ক্যামেরা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর কোনও সত্যতা নেই। যদি কারোর কাছে প্রমাণ থাকে, তবে পেশ করুন, তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”