দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং নানা কারণেই 'বিকল্প চাষ' কথাটা খুব প্ৰচলিত হয়েছে। এবার মেদিনীপুরের চাষী গোপাল দাস ধনী জমিতে তরমুজ চাষ করে অনেক বেশি লাভের মুখ দেখেছেন। এতোদিন ধান চাষ করতেন। কিন্তু তাতে খরচের পর ধান বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তার মোটেও লাভজনক নয়। আর তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। সেই বিকল্প চাষের অন্যতম হল তরমুজ উৎপাদন। নারায়ণগড়ের কুসবসান এলাকার চাষি গোপাল দাস দীর্ঘদিন ধরে ধান উৎপাদন করতেন। কিন্তু লাভের আশায় এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এই সিদ্ধান্ত খেটেও গিয়েছে। ফলে হাসি ফুটেছে ওই কৃষকের মুখে।
গোপাল দাস বলেন,নিয়ম মেনে তরমুজ চাষ করা গেলে ও নিয়মিত পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিনি জানান, তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি মাদা তৈরি করে বীজ বসাতে হয়। চার হাত অন্তর তৈরি করতে হয় মাদি। প্রতি মাদাতে ৬ টি করে বীজ পোঁতা হয়। বীজ লাগানোর এক মাসের মধ্যেই ফলন শুরু হয়। বীজ মাটিতে বসানোর আগে খড় বিছিয়ে দিলে ফলনে সুবিধা হয়। এতে তরমুজের গায়ে মাটির দাগ লাগে না। সামান্য রাসায়নিক সার এবং পরিমাণ মতো জৈব সার দিয়ে তৈরি করতে হয় তরমুজ চাষের মাটি।
ধানের বদলে তরমুজ চাষের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গোপাল দাস বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে তরমুজ ফলাতে ২২৫ গ্রাম বীজ লেগেছে। সবমিলিয়ে এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। শ্রাবণ মাস থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ কুইন্টাল তরমুজ পাচ্ছেন তিনি। ফলে তাঁর মুখে বেশ হাসি ফুটেছে।