
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে তোষকের ভিতরের তুলো দলা পাকিয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ, বিছানায় শুলেই পিঠে উঁচু-নিচু অনুভূত হয়। কিন্তু বার বার দামের গদি কেনা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাছাড়া, নতুন তোষক কেনার পরেও যে এমন সমস্যা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, দোষ আসলে তোষকের নয়, আপনি কীভাবে তোষক ব্যবহার করছেন, সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিছানার চাদর থেকে শুরু করে বালিশ—নিয়মিত পরিষ্কার করেন, রোদে দেন এবং ঝাঁটা দিয়ে পেটান। অথচ, তোষক থেকে যায় উপেক্ষিত। মাসের পর মাস ব্যবহার করার ফলে গদি অমসৃণ (এবড়োখেবড়ো) হয়ে যায়। তবে, আপনি যদি সঠিকভাবে যত্ন করেন, তোষকও তার মর্যাদা রক্ষা করবে। সহজে তুলো দলা পাকাবে না, স্প্রিং নষ্ট হবে না এবং তা পরিষ্কারও থাকবে।
গদির যত্ন নেবেন কী ভাবে?
· প্রতি ৩ মাস অন্তর গদি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হবে, যাতে দেহের ওজন তোষকের প্রতি অংশে একই ভাবে পড়ে। সারা বছর সমান ব্যবধানে তোষক উল্টে পাল্টে দিতে হবে। ফলে তুলো চটজলদি দলা পাকিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
· গদির উপর হালকা একটি কভার জড়িয়ে নিন। যাতে ঘাম, ধুলো, তেল ইত্যাদি তোষক পর্যন্ত না পৌঁছোয়।
· প্রতি সপ্তাহে চাদর পাল্টে নিতে হবে, যাতে ঘাম, ময়লা ইত্যাদি কোনও ভাবেই চুঁয়ে না যেতে পারে।
· তোষককে কখনও সখনও বিশ্রাম দিন। চাদর পাল্টানোর সময়ে এই প্রথা মেনে চলুন। চাদর তুলে ফেলার পর ঘণ্টাখানেক নতুন চাদর পাতবেন না। গদির গায়ে মুক্ত বাতাস লাগতে দিন।
· তোষকের ফ্যাব্রিক বা কাপড় রক্ষা করার জন্য পোষ্যকে গদির থেকে দূরে রাখুন। নয়তো থাবার খোঁচায় কাপড় ছিঁড়ে যেতে পারে, তুলো বেরিয়ে আসতে পারে।
· রোদে দিন তোষক। এতে জীবাণু মরে গিয়ে আর্দ্রতা দূর হবে।
· তোষককে একেবারেই ভাঁজ করে রাখবেন না, এতে ভিতরের ফিলিংস এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।
