দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্পর্ক বা বিবাহের ক্ষেত্রে এজ গ্যাপ একটা বড় বিষয়, যার মাধ্যমে ঘটতে পারে সম্পর্কের এক নিবিড় বন্ধন আবার হতে পারে বনিবনা। তাই সেক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মেনে চলুন।
১. মন হোক উন্মুক্ত
কিছু ব্যক্তি জেনারেশন গ্যাপের গণ্ডি অনায়াসে মিটিয়ে ফেলতে পারেন। তাঁরা ছোট থেকে বড়- সকলের সঙ্গেই সমান সাবলীল। আপনাকেও এই গুণ আয়ত্ব করতে হবে বন্ধু। জানতে হবে নতুন জেনারেশনের রীতিনীতি। তাঁদের মতো করে ভাবার চেষ্টা করতে হবে। এতেই দেখবেন আপনাদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমেছে। আর তেমনটা হলে স্ত্রীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না। সেই সঙ্গে কোনও ভেদাভেদ বা বিরোধও আপনাদের দাম্পত্যকে স্পর্শ করতে পারবে না।
২) সময় নিন
মনের মিল হচ্ছে না বলে অনেকেই একে অপরের থেকে দূরে চলে যান। তবে এই ভুল করলে কিন্তু চলবে না মশাই। বরং আপনার উচিত স্ত্রীকে সময় দেওয়া। আপনি যতটা বেশি সময় তাঁর সঙ্গে কাটাতে পারবেন, ততই তাঁর ভাবনা চিন্তা আপনার বোধগম্য হবে। তারপর চেষ্টা করুন সেই ভাবনাকে আয়ত্ব করার। এইটুকু চেষ্টা চালালেই দেখবেন ভালোবাসার নদীতে জোয়ার এসেছে। তারপর অনায়াসে সুখে সংসার করা যাবে।
৩) নিজেকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মানিয়ে নিন
অনেক পুরুষের এই সমস্যা থাকে। তাঁরা নতুন কিছু মেনে নিতে পারেন না। আসলে তাঁদের মনের জানলায় ছিটকানি তোলা থাকে। ফলে নতুন যুগের ফাগুন হাওয়া তাঁদের মনে প্রবেশ করতে পারে না। আর এই কারণেই বড়সড় গোল বেঁধে যায়। তাঁরা নিজের স্ত্রীর পছন্দকে ছোট চোখে দেখতে শুরু করেন। আর স্বামীর এহেন অবজ্ঞার আঁচ পেয়ে স্ত্রীও নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেন। এতেই বাড়তে থাকে সমস্যা। তাই এহেন আচরণ থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন। নিজেকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মানিয়ে নিন। এর মাধ্যমেই স্ত্রীর ভালোবাসা পাবেন।
৪) অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করবেন না
স্ত্রীর বয়স কম হলে অনেকেই নিজেকে তাঁর অভিভাবক ভাবতে শুরু করে দেন। প্রতিপদে জ্ঞান দেওয়াই তাঁদের কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এটা নয়, সেটা নয়- একাধিক বিষয়ে প্রতিপদে তাঁরা স্ত্রীকে বাধা দেন। মুশকিল হল, প্রথম দিকে স্ত্রী এই পরামর্শ মেনে নিলেও, পরের দিকে তাঁদেরও একঘেয়ে লাগে। ফলে মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। তখন আপনাকে দেখলেই তিনি মুখ পর্যন্ত ঘুরিয়ে নিতে পারেন। তাই এভাবে স্ত্রীর সব বিষয়ে ফোড়ন কাটতে যাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বরং স্ত্রীর বন্ধু হয়ে উঠুন।