কলকাতা, ২৫ জুলাই : বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এদিন দুপুরে শ জানা যায়, এদিন তিনি যাচ্ছেন না। একটি মহলের বক্তব্য, তিনি শুক্রবার যেতে পারে দিল্লি। আবার অন্য একটি সূত্রের দাবি, তিনি দিল্লি সফর পুরোপুরিই বাতিল করে দিতে পারেন।
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। কিন্তু নীতি আয়োগের ওই বৈঠক নিয়েও বিরোধী শিবিরে খানিক ‘বিতর্ক’ তৈরি হয়েছে। কারণ, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ওই বৈঠক বয়কট করছেন। বৈঠকে যোগ দিতে আসবেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। আসবেন না ঝাড়খণ্ড এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে মমতার বৈঠকে যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা এবং আলোচনা তৈরি হচ্ছিল।
সেই বৈঠকের জন্য মমতা নথিপত্র নিয়ে তৈরিও হয়েছিলেন। কিছু নথিপত্র আগে নীতি আয়োগকে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছিল। অনেকে অবশ্য বলছিলেন, তিনি নীতি আয়োগে বক্তৃতা না-ও করতে পারেন। তিনি শুধু নথিপত্র পেশ করতে পারেন। ওই বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর মোদীর নেতৃত্বেই।
কেন মমতা তাঁর দিল্লি সফর পিছিয়ে দিলেন বা বাতিল করলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলেই মমতা দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, তেমন হলে মমতা শুক্রবারেও দিল্লি যেতে পারেন।
দিল্লিতে তাঁর অনেকগুলি কর্মসূচি ঠিক করা আছে। তার মধ্যে একটি হল দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক। দিল্লিতে জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও ঘরোয়া ভাবে মিলিত হওয়ার কথা ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সেটি হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। তা ছাড়াও দিল্লিতে বিরোধী শিবিরের কয়েক জন নেতা-নেত্রীর সঙ্গেও তাঁর দেখা করার কর্মসূচি ছিল।