দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইরানে মহিলাদের উপর নিপীড়নের পর্ব দিনপ্রতিদিন বেড়েই চলেছে, ধর্মের নামে মহিলাদের এক প্রকার গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে সেদেশে। সবরকমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। ধর্মের নামে অহোরহো অত্যাচার চালাচ্ছে নীতি পুলিশের দল, সেই নীতি পুলিশের অত্যাচারেই ২০২২-এ মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। ধর্মের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল ইরানে। দমন-পীড়নের মাধ্যমে সেই আন্দোলনের কন্ঠরোধ করেছিল তেহরান। গত সপ্তাহে আরমিতা গেরাওয়ান্দ নামে ১৬ বছরের এক কিশোরীর উপর ফের কুখ্যাত নীতি পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে কোমায় আছে ওই কিশোরী।এই ঘটনার জেরে আরও একবার নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে গণ-ক্ষোভ উসকে উঠেছে।
এরই মধ্যে, ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে নার্গেস মহম্মদির নাম ঘোষণা করল নরওয়েইয়ান নোবেল কমিটি। কে এই নার্গেস মহম্মদি? ইরানে মহিলাদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই মানবাধিকার কর্মী। স্বাভাবিকভবেই ইরানের ধর্মীয় শাসকদের চক্ষুশূল, কারাবন্দি করা হয়েছে তাঁকে। মহিলাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার এই মহিলাকেই সম্মানিত করল নোবেল কমিটি।
ইরানে মহিলাদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে যে লড়াই করছেন নার্গেস মহম্মদী, তার জন্যই তাঁকে শান্তি পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। অসলোর নোবেল কমিটি বলেছে, “তাঁর সাহসী সংগ্রামের জন্য, ২০২৩ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গেস মহম্মদীকে ব্যক্তিগত জীববে প্রচুর মাসুল দিতে হয়েছে। ইরানের সরকার তাঁকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাঁকে মোট ৩১ বছরের জেল এবং ১৫৪টি বেত্রাঘাতের শাস্তি দিয়েছে। মহম্মদী এখনও কারাগারেই আছেন।”
উল্লেখ্য, চলতি বছর শষান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ২৫৯ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি সংস্থার নাম ছিল। এই ৩৫১ টি নামের মধ্য থেকে নার্দেস মহম্মদিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।