কুয়ালালামপুর, ৩১ আগস্ট : সাড়ম্বরে দেশের ৬৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে মালয়েশিয়া । ৩১ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সমগ্র মালয়েশিয়া জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। করোনা মহামারির কারণে বিগত তিনটি বছর বিধি-নিষেধের কারণে জাঁকজমকভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে না পারায় এবারের স্বাধীনতা দিবসে থাকছে ভিন্ন মাত্রা।
১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট আমেরিকার কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে মালয়েশিয়া। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নানা বিধি-নিষেধ থাকায় গত তিনটি বছর মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। তবে, এবার ৬৬তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে রাস্তাজুড়ে উড়ছে নীল, লাল ও হলুদ রঙের মালয়েশিয়ান পতাকা। রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরও ছেয়ে গেছে নানা বর্ণের ব্যানার ও ফেস্টুনে। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম গৌরব ও অহংকারের দিন এটি। এদিন জাতীয় দিবসের প্যারেডে সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। প্রতি বছর কুয়ালালামপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র দাতারান মারদেকায় (স্বাধীনতা চত্বর) দিবসটি উদযাপন করলেও গত বছরের ন্যায় এবারও উদযাপিত হচ্ছে প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায়। তবে দাতারান মারদেকা মাঠ এবং কেএলসিসি পার্কে রাতভর ছিল সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদেশীদের সরগরম উপস্থিতি।
এ সময় প্রভাত ফেরিতে উপস্থিত ছিলেন রাজা ইয়াং আল সুলতান আব্দুল্লাহ রি আয়াত উদ্দিন আল-মোস্তফা বিল্লাহ শাহ, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি, দাতুক সেরি ফাদিল্লাহ ইউসুফসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরাসহ দেশটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এ সময় মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পাঁচটি হেলিকপ্টারের একটি ফ্লাইটপাস্ট ছিল, যা জাতীয় পতাকা এবং সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা, মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী, রয়েল মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী এবং রয়েল মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর পতাকা বহন করে। স্কুলছাত্রদের থেকে শুরু করে সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের ১৮ হাজারেরও বেশি লোক প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। যা আটটি বিভাগে বিভক্ত ছিল।