কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : একদিকে, জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক। উদ্বেগের কেন্দ্রে, অ্যাডিনো ভাইরাস। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক করা হয়।
স্বাস্থ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জেলার হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো কমাতে হবে। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকল বিধি মেনে করতে হবে চিকিৎসা। সতর্ক থাকতে হবে পেডিয়াট্রিক চিকিৎসকদের। প্রয়োজন হলে নমুনা পাঠাতে হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।
শুধুমাত্র শিশুরাই নয়, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভুগেই চলেছে বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যরা। অনেক ক্ষেত্রেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ আরও বাড়াল নাইসেড-এর রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস।
প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে। আইসিইউ-তে ভর্তি অধিকাংশের বয়সই ১-২ বছর। শিশুদের আইসিইউ বা পিআইসিইউ ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে পিআইসিইউ-তে শয্যা রয়েছে ২৫টি। সব কটিই বর্তমানে ভর্তি। ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথে আইসিইউ-র ১৪টি শয্যাই ভর্তি। মুকুন্দপুর আমরি-তে আইসিইউ-র ১০টি শয্যাতেই অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি মিলিয়ে ১১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি হলে হালকাভাবে না নিয়ে, চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। করোনা বিধির মতোই মাস্ক ও হাতশুদ্ধি ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি, শিশুদের ভিড়ের মধ্যে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।