দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বারানসীর ঘাটের আদলে কলকাতার গঙা ঘাটেও বেশ কিছু সময় ধরেই সন্ধ্যারতির একটা চল তৈরী হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপুজোতেও সেই গঙ্গারতি চলবে, তবে পুজোর সময় আই অনুষ্ঠানকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে সন্ধযারতির তালে তালে খানিকটা লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোর মতো পারফর্ম করতে দেখা যাবে ‘সার্পি লাইট’। উল্লেখ্য, আই 'সার্পি লাইট' প্রথম দেখা গিয়েছিল চিনের জিনতাই প্রদেশের ডান্স ফেস্টিভ্যালে।এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ফেস্টিভ্যাল অফ লাইটস’-এ আলো চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল সক্কলের। তাই এবার দেখা যাবে বাজে কদমতলা ঘাটের গঙ্গা আরতিতে।
ইতিমধ্যেই বাজে কদমতলা ঘাটের গঙ্গা আরতিতে শুরু হয়েছে আলোর ট্রায়াল। একাধিক আন্তর্জাতিক উৎসবে এ আলোর ব্যবহার হয়। সূদূর চিন থেকে আলো নিয়ে এসেছে কলকাতা পুরসভা। প্রসঙ্গত, মেয়র পারিষদ তারক সিং কর্মসূত্রে ঘুরেছেন বিদেশের একাধিক জায়গায়। সেখানেই দেখেছেন এমন আলো। তবে দেশে এই আলো পাওয়া যায় না। চিন থেকে আমদানি করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে দামও আকাশছোঁয়া।
কথায়, ‘‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দেশীয় যে সমস্ত কোম্পানি আমদানি করে তাদের কাছ থেকে এ আলো কিনতে গেলে এক একটা আলোর দাম পড়ে যাবে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার।’’ কিন্তু চিন থেকে সরাসরি এ আলো কিনলে পাওয়া যাবে এক একটা এক লক্ষ টাকায়।’’ তাঁর সংযোজন- ‘‘খোঁজ পাই একজনের। চেনা জানা একজন ব্যবসার সূত্রে চিন গিয়েছিল। জাহাজে করে তারই কন্টেনার আসার কথা ছিল শহরে।’’ সে জাহাজে তাকেই আলো আনার বন্দোবস্ত করতে বলেন মেয়র পারিষদ। মেয়র পারিষদের অনুরোধে চিন থেকে আলো কিনে জাহাজে করে নিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি।
শহরে স্থায়ী ভাবে সার্পিলাইটের ব্যবহার এই প্রথম। ফি দিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের ভিড় হচ্ছে গঙ্গা আরতিতে। পুজোয় সেই ভিড় পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশা করছেন পুরকর্তারা। পুজোর মুখে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগছে গঙ্গা আরতিতে। ভিআইপিদের জন্য করা হচ্ছে বিশেষ আসনের ব্যবস্থাও। পুজোয় নবমী পর্যন্ত চলবে গঙ্গা আরতি। বিসর্জনের কারণে বিজয়া দশমী থেকে পুজো কার্নিভাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তা। এখনও পর্যন্ত চিন থেকে আনা চারটি সার্পিলাইট লাগানো হয়েছে বাজে কদমতলা ঘাটে।
প্রসঙ্গত, ষোলোটি ইস্পাতের বেদি, সেই বেদির উপর দাঁড়িয়েই হাতে একশো আটটা করে প্রদীপ তুলে গঙ্গা আরতি করেন পুরোহিতরা। পুজোর সময় সন্ধে ছ’টা থেকে শুরু হবে গঙ্গা আরতি। চলবে এক ঘণ্টা পর্যন্ত।