দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ত্বকের পরিচর্যা আমরা কমবেশি সকলেই করি। আর এই পরিচর্যার বড়ো অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বাজারজাত বিভিন্ন কসমেটিকস্ প্রোডাক্ট। তবে এইসব প্রোডাক্টে আদেও কি ত্বকের জন্য উপকারী? এই প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা আমরা জানি, এই সব কসমেটিকস্ -র তুলনায় প্রাকৃতিক উপায়ে সৌন্দর্য ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। নানান প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরী বিভিন্ন প্রসাধনী ধারাবাহিক ভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আর এই প্রসাধনীর মধ্যে বেসন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
তৎকালীন সময় থেকে রূপচর্চায় বেসন ভীষণ প্রাসঙ্গিক। মা-কাকিমাদের রূপচর্চার বড়ো অংশ জুড়ে থাকতো এই বেসন। মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা দিলে এই বেসন দিয়ে মুখ ধুলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি বিয়ের আগে ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও বেসন, হলুদ, টক দই, মধুর প্যাক মাখতে বলেন অনেকে। ত্বকের নানান সমস্যায় ঔষধ হিসেবে কাজ করে বেসন। রূপচর্চায় বেসন কতটা কার্যকরী, নিম্নে উল্লেখিত হলো-
১) বেসন এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা স্পর্শকাতর— ত্বক যেমনই হোক। বেসন ত্বকের কোনও ক্ষতি না করেই মৃত কোষ দূর করে। ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
২) ত্বক উজ্জ্বল করে বেসন। ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ সরে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ব্রণ বা মেচেতার দাগ থাকলেও ধীরে ধীরে তা মিলিয়ে যায়।
৩) বাড়িতে বেসন থাকতে দাম দিয়ে ‘পোর্স টাইটেনিং’ টোনার বা প্যাক কিনতে যাবেন কেন? বেসনের সঙ্গে দুধ বা টক দই মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন প্যাক। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন নিয়ম করে এই প্যাক মাখুন। ওপেন পোর্সের সমস্যা অনেকটা সামাল দেওয়া যাবে।
৪) মুখ ব্রণয় ভরে গিয়েছে মানেই অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ হচ্ছে। বাইরে থেকে সেই তেল শুষে নিতে পারে বেসন। ফেসওয়াশের বদলে দু’বেলা বেসন দিয়ে মুখ ধুয়ে দেখতে পারেন। ত্বক শুষ্কও হবে না, আবার তেলের বন্যাও বইবে না।