Festival and celebrations

1 year ago

MahishasurMardini: মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র কখন পাঠ করলে সুফল পাবেন? জানুন

MahishasurMardini
MahishasurMardini

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া- দেবীপক্ষের সূচনা। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এই সময় দেবী দুর্গার আর্শীবাদ পাওয়া যায়। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠ করলে মা দুর্গার আর্শীবাদে জীবন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রশ্ন কখন এই স্ত্রোত্র পাঠ করা উচিৎ। এই স্তোত্র ঠিক কতটা শক্তিশালী।

মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র দেবী বন্দনা। প্রাচীন বিশ্বাস দেবীমাহাত্ম্যের দ্বাদশ অধ্যায় দেবী দুর্গা বলেছেন, যে স্থানে নিয়মিত প্রতিদিু শ্রী মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র পাঠ হয় সেই স্থান থেকে তিনি কোনও দিনও চলে যান না। সেখানে তিনি সর্বদাই উপস্থিত থাকেন। তবে দুর্গাপুজো বা দেবীপক্ষে এই স্তোত্র বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি এই সময় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। অনেকেই মনে করেন এই সময় দেবী জাগ্রত থাকেন। মর্তে তাঁর আবির্ভাব হয়। আদি শঙ্করাচার্য দেবী মাহাত্ম্যের ওপর ভিত্তি করে মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র রচনা করেছেন। তেনি এই সোত্রে দেবী বন্দনা করেছেন। পাশাপাশি আদি শক্তির উপাসনার পথও দেখিয়েছেন। কারণ স্তোত্র অনুযায়ী এই সময় দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী , সরস্বতী বিভিন্ন রূপ ধারন করে অশুভ শক্তির বিনাস করেছিলেন।

হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র ভক্তির মনে শান্তি আনে। প্রচ্ছন্ন ভাব আনতে পারে। এই স্তোত্র নিয়মিত পাঠন করলে ভয় আর দুঃখ দূর হয়। সন্দেহ, রাগ, অহং বোধ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে মনের ওপর নেতিবাচর শক্তি বা অশুভ শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। বাড়িতে বসে যদি নিয়মতি এই স্তোত্র পাঠ করা হয় তাহলে বাড়ি বা সংসারের ওপর থেকে নেতিবাচক শক্তি বা অশুভ শক্তি দূর হয়।

অনেকেই স্তোত্র পাঠ করেন না শোনেন , তাতেই অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। সেটিও উপকারী। কিন্তু শাস্ত্রমতে এই স্তোত্র পাঠ করাই শ্রেয়। দিনের যেকোনও সময় মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ করা যায়। শুধুমাত্র শান্ত মনে এই স্তোত্র পাঠ করতে হবে। এটি মনকে শান্ত করে। চিন্তা করতে শক্তি দেয়।

You might also like!