দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বাঙালির কাছে বারো মাসে তেরো
পার্বণ। আর পুজোর দিন মানেই বাড়িতে নিরামিষ আহার। আর এই নিরামিষ আহারে লুচি,পরোটাকেই
আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন, যা খেলেই গ্যাস- অম্বলের মতো সমস্যায় ভোগেন বাঙালি বাড়ির
মা-কাকিমারা। এবার গ্যাস- অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই প্রতিবেদনে রইল ৩টি খাবারের
মেনু।
কলার লস্যিঃ- ভাজাভুজির বদলে পুষ্টিকর লস্যিতেও চুমুক দিতে
পারেন। পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাবারে যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের
সঠিক অনুপাত থাকে। এই লস্যি ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর। কলা, টক দই, কয়েকটি বীজ ছাড়ানো
খেজুর, দু-চারটি কাঠবাদাম দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে লস্যিটি। স্বাদ
এবং গন্ধের জন্য এক চিমটে এলাচ গুঁড়ো দিতে পারেন।
পনির টিক্কা:- নিরামিষ দিনে বানিয়ে নিতে পারেন পনির টিক্কা। জল ঝরানো টক দই, গোল মরিচ, ধনে-জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন এবং তেল দিয়ে পনিরের টুকরোগুলি মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা এ ভাবে রেখে কড়াইতে তেল দিয়ে উল্টেপাল্টে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পনির টিক্কা।
ডালিয়ার পোলাওঃ- নানা রকম পুজোর নানা রকম নিয়মকানুন। অনেক উপোসেই ডালিয়া খাওয়ায় বাধা থাকে না। ডালিয়া পুষ্টিকর খাবারের মধ্যেও পড়ে। তবে স্বাদ বদলে খিচুড়ি নয়, ডালিয়া দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পোলাও। ফোড়নে ব্যবহার করতে পারেন কারিপাতা, সর্ষে। আবার জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়নও দিতে পারেন। সামান্য সাদা তেল বা ঘি দিয়ে রান্না করে নিন। পছন্দের সব্জি কুচিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন। দিন কাজু এবং কিশমিশ। সব্জি নাড়াচাড়ার পর দিয়ে দিন ডালিয়া। বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়র পর দিতে হবে মাপমতো জল। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ডালিয়া সেদ্ধ হয়ে ফুলে উঠবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ডালিয়ার পোলাও হবে ঝরঝরে।