Business

1 year ago

Top 10 Businessman: ভারতীয় এই দশ ধনীব্যক্তির সাফল্য অনুপ্রেরনা হতে পারে আপনার ও , জেনে নিন এই তালিকায় কে কে রয়েছেন

Top 10 Businessman (Symbolic Picture )
Top 10 Businessman (Symbolic Picture )

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই ১০ জন ভারতীয় ধনীব্যক্তির গল্প আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তবে আমরা এতদিন জানতাম আমাদের ভারতবর্ষের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বর্তমানে মুকেশ আম্বানি। কিন্তু জানা গেছে, কেবল মুকেশ নন বিশ্বের সব শীর্ষ ধনীকে এ বছর টেক্কা দিয়েছেন ভারতের আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান। চলতি বছরে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, মুকেশ আম্বানিদের ছাপিয়ে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সম্পত্তি বাড়িয়েছেন গৌতম। ফোর্বসের তালিকায় ভারতের যে শীর্ষ ১০ ধনীর কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজনই স্বাস্থ্যসেবা খাতের সঙ্গে যুক্ত। মহামারির মধ্যে এ খাতের পণ্যের যে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে, তাতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাঁদের সম্পদ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের শীর্ষ ১০ ধনীর নাম। 

গৌতম আদানি:


ফোর্বসের তালিকায় ভারতের  শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ 146.8 বিলিয়ন ডলার। ১৯৮৮ সালে আদানি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন গৌতম আদানি। ক্রমেই তা ভারতের শীর্ষস্থানীয় পাওয়ার জেনারেটর ও পোর্ট অপারেটর সংস্থা হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে এই গ্রুপ বিমানবন্দরের ব্যবসায় নামে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে আদানি গ্রুপের ছয়টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। চলতি বছরে কেবল একটি ক্ষেত্র ছাড়া আদানি গোষ্ঠীর সব কটি ব্যবসার শেয়ারের মূল্য ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে। কোনো কোনো ব্যবসায় আদানিদের মুনাফার হার ছাপিয়ে গেছে ৯০ শতাংশও।


 মুকেশ আম্বানি :


2023 সালে ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ 94.3 বিলিয়ন ডলার। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের নিট ঋণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গড়েছেন আম্বানি। গত বছর তিনি তাঁর টেলিকম ইউনিট জিওর এক-তৃতীয়াংশ ফেসবুক এবং গুগলের মতো বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করেছেন।


শিভ নাদার :


28.7 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনে রয়েছেন এইচসিএল টেকনোলজিসের শিব নাদার। ভারতের তৃতীয় সর্ববৃহৎ সফটওয়্যার এক্সপোর্টের এইচসিএল। দিল্লির বাসিন্দা শিভ নাদার গত বছরের জুলাইতে এইচসিএল টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একমাত্র মেয়ে রোশনি নাদার মালহোত্রার হাতে তুলে দেন দায়িত্ব।


সায়রাস পুনেওয়ালা :


করোনার এই সময়ে পুনেওয়ালা পরিবার যেন নতুন করে পরিচিতি লাভ করেছে। সায়রাস পুনেওয়ালার ভ্যাকসিন তৈরির সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে করোনার টিকা।24.3 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে সায়রাস এখন ভারতের চতুর্থ ধনী। যদিও এখন সেরামের মূল দায়িত্ব রয়েছে সায়রাসের ছেলে আদর পুনেওয়ালার হাতে।


রাধাকৃষ্ণ দামানি:


রিটেইল ও বিনিয়োগের অন্যতম নাম রাধাকৃষ্ণ দামানি। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে আর্থিক ক্ষতির মুখে প্রায় গোটা বিশ্ব। ব্যবসা-বাণিজ্যে একরকম অচলাবস্থার কারণে এই সময় সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ভারতের অনেক শিল্পপতির। তবে রাধাকৃষ্ণ দামানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে 20.0  বিলিয়নে পৌঁছেছে। মূলত গত বছর তাঁর অ্যাভিনিউ সুপারমার্কেটের শেয়ার দর তরতর করে বাড়ায় ধনীর তালিকায় এ অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি।


 লক্ষ্মী মিত্তাল:


লক্ষ্মী মিত্তালের ব্যবসার মূল ভিত্তি স্টিল। তিনি অবশ্য এখন থাকেন লন্ডনে। 2023 সালে তিনি 17.9  বিলিয়নের মালিক। গত বছর কোম্পানি ‘আরসেলর মিত্তালের’ প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে যান লক্ষ্মী। এ দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর ছেলে। লক্ষ্মী এখন কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান।


সাবিত্রী জিন্দাল :


এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মহিলার তালিকায় আর প্রথম স্থানে রইলেন না ইয়াং হুইয়ান। চিনের সম্পত্তি সংকটের মুখে পড়েছে কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংস কোম্পানি। শুক্রবার ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে ভারতের সাবিত্রী জিন্দাল পিছনে ফেলে দিয়েছেন ইয়াংকে। সাবিত্রীর মোট সম্প্রদের পরিমাণ 17.7 বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। তাঁর জিন্দাল গ্রুপ মূলত ধাতু এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ শিল্পে জড়িত। চিনের টাইকুন ফ্যান হংওয়েই থেকেও নিচে নেমে গিয়েছেন ইয়াং। ফ্যান হংওয়েই রাসায়নিক-ফাইবার কোম্পানি হেংলি পেট্রোকেমিক্যালসের মালিক।


কুমার মঙ্গলম বিড়লা :


ভারতের অষ্টম শীর্ষ ধনী কুমার বিড়লার মালিকানায় রয়েছে অনেক সংস্থা, যার মধ্যে রয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া, সিমেন্টসহ আরও অনেক কোম্পানি।2023 সালে তিনি এখন 16.5 বিলিয়নের মালিক।


দিলীপ শাংঘাভি :


ভারতে ওষুধের তৈরির জগতে রয়েছে দিলীপের নাম। তার কোম্পানি সান ফার্মাসিউটিক্যালসের বড় উত্থান হয়েছে এই করোনার সময়ে। 2023 সালে ১০ দশমিক ৯ বিলিয়নের মালিক তিনি।


পালোনজি মিস্ত্রি :


প্রয়াত শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান পালোনজি মিস্ত্রি। মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। মুম্বইয়ের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন এই প্রবীণ শিল্পপতি। ভারতের বৃহত্তম ব্য়বসায়িক সংস্থাগুলির মধ্যে একটি হল শাপুরজি পালোনজি গ্রুপ। ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই সংস্থা। নিজের সংস্থাকে সাফল্য়ের শিখরে নিয়ে যাওয়ার পিছনে কৃতিত্ব রয়েছে পালোনজি মিস্ত্রিরই। ২০১৬ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।১৮৬৫ সালে নির্মাণ সংস্থা শাপুরজি পালোনজি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা হয়। এই সংস্থার ছয়টি ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের ৫০ টি দেশ জুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণ, পরিকাঠামো, রিয়্যাল এস্টেট, জল, শ্ক্তি ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে এদের ব্যবসা রয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি জন্য কর্মচারী কাজ করেন এই গ্রুপের অধীনে। বিশ্বের ৫০ টি দেশে এই সংস্থা বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। টাটা সন্সে এই সংস্থার ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। পালোনজি মিস্ত্রির ছোটো ছেলে সাইরাস মিস্ত্রি ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল অবধি টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।2023 সালে তিনি 15 বিলিয়নের মালিক।

You might also like!