কলকাতা, ১০ নভেম্বর : মাছ-মাংস না থাকলেও ভাতের পাতে একটু ডিম হলেই চলে যায়। কিন্তু সেই ডিমও যখন মহার্ঘ, তখন উপায়? ইতিমধ্যেই কোথাও জোড়া ডিম ১৩, কোথাও ১৪ টাকা। ট্রে-তে একসঙ্গে ৩০টা কিনলেও দামের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না।
মুরগির মাংসের দাম কয়েকদিন আগে ছিল ২০০ টাকা কেজি। ডিমের তুলনায় দাম ঠিকই আছে। কিন্তু এক ট্রে ডিম মাসখানেক আগেও যেখানে দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা, সেই দামই ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে বাজারে। দোকানদাররা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণেই খুচরো বাজারে বেড়েছে। গত দেড় মাসে এক জোড়া ডিমের দাম গড়ে তিন টাকা করে বেড়েছে। পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, মুরগির খাবারের দাম গত দু’বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই তাই ডিম এবং মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে অন্ধ্র থেকে জোগান কমে যাওয়ায় দামটা বাড়ল। সেখানে ভাইরাসের কারণে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। যেখানে এক লক্ষ ডিম আসত সেখানে এখন আসছে হাজার চল্লিশেক মতো। আর ঠান্ডা-গরমের এই আবহাওয়ায় রাজ্যেও অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে। এই সব কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে। চলতি মাসে দাম কমার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। উলটে তা বাড়তে পারে। কারণ ডিসেম্বর মাসে কেকের চাহিদা বাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে ডিমের চাহিদাও। সেই জোগান দিতে গিয়েই বেড়ে যায় দাম। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ডিমের দাম আট টাকা পিস হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।