দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ টাকা তোলার অন্যতম একটি পন্থা হল চেকবুক। অ্যাকাউণ্ট খুললেই যেটি গ্রাহকদের হাতে দেওয়া হয়। চেকবুকে থাকে অ্যাকাউণ্ট হোল্ডারের নাম ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। চেক ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে 7টি নিয়ম। কি সেগুলো? আসুন একে একে জেনে নেওয়া যাক।
চেকের সই
চেকের ক্ষেত্রে সই না থাকলে টাকা দেওয়া হয় না। গ্রাহকের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখে ব্যাঙ্ক। ফলে কোনওভাবেই চেকে ভুল সই করা চলবে না। সই ভুল হলে বা সেখানে কাটাকাটি থাকলে চেক বাউন্স করতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতে পারে গ্রাহকের বিরুদ্ধে। হতে পারে জরিমানাও।
ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই একদম না
কাউকে টাকা দেওয়ার সময় অনেকেই ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করে দেন। অর্থাৎ চেকের উপর নাম বা টাকার অঙ্ক না লিখে স্বাক্ষর করেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের পরামর্শ, এমনটা কখনই করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে তাঁর সর্বসান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চেক পুরোপরি পূরণ করে তবেই কাউকে দেওয়া উচিত, বলছে ব্যাঙ্ক।
এক কালিতে লেখা
চেক সবসময় একই কালির পেন দিয়ে ফিল আপ করতে হবে। নাম, টাকার অঙ্ক ও তারিখ আলাদা আলাদা কালির পেনে পূরণ না করাই ভালো। এক্ষেত্রে গ্রাহক বল পয়েন্ট ও জেল পেন ব্যবহার করতে পারেন। স্কেচ পেন ব্যবহার করা যায় না। ভ্যানিশিং ইঙ্ক বা অদৃশ্য় কালিতে চেক পূরণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
চেক বইতে সই নয়
গ্রাহকদের একাংশ চেক বই পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত চেকে সই করে রাখেন। সেটা একেবারেই উচিত নয়। প্রয়োজন মতো একটি একটি করে চেক ব্যবহার করাই ভালো। তা হলে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকবে না। যতই বিশ্বাসী হোক না কেন, কারোর হাতে কোনওভাবেই যেন ব্যাঙ্ক চেক না পৌঁছয়।
চেক অ্য়ামাউন্ট
চেকে দুই জায়গায় টাকার অঙ্ক লিখতে হয়। একটি হল সংখ্যায় ও অপরটি কথায়। চেক দেওয়ার সময় দু'টোই ভালোভাবে দেখে নিয়ে পূরণ করতে হবে। সংখ্যার এদিক ওদিক হলে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে।
ক্যানসেল চেক
অনেক সময় নানা কারণে গ্রাহককে ক্যানসেল চেক দিতে হয়। সেক্ষেত্রে চেকের উপর ক্যানসেল কথাটি লিখতে হবে। ক্যানসেলের ক্ষেত্রে সই করা ব্ল্যাঙ্ক চেক দিলে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকবে।