কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি : ইংরেজি এবিসিডি-র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়চ্ছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়। যার প্রমাণ মিলেছে ৪৬তম কলকাতা আর্ন্তজাতিক পুস্তকমেলাতে। মাত্র ১২ দিনে ১৫০০ বর্ণপরিচয় বিক্রি আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবসে অক্সিজেন যোগাচ্ছে প্রকাশকদের।
এখন কলেজ স্ট্রিটের একাধিক প্রকাশনা সংস্থা ছাপায় বর্ণপরিচয়। এক সময়ে বর্ণপরিচয় প্রকাশের সত্ত্ব ছিল শুধু দেব সাহিত্য কুটিরের। দেব সাহিত্য কুটিরের ঝামা পুকুর লেনের বাড়িতে নিজে এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবসে প্রকাশকরা বলছেন, যুগ যতই বদলাক। বর্ণপরিচয়ের চাহিদা অবিনশ্বর। যার প্রমাণ মিলেছে ৪৬তম কলকাতা আর্ন্তজাতিক পুস্তকমেলাতে। মাত্র ১২ দিনে ১৫০০ বর্ণপরিচয় বিক্রি আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবসে অক্সিজেন যোগাচ্ছে প্রকাশকদের। দেব সাহিত্য কুটির সূত্রে খবর, বছরে একসময় ১ লক্ষ ৮০ হাজার বর্ণপরিচয় বিক্রি হত প্রকাশনা সংস্থার। শেষ বছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারে। এর মানে এমন নয় যে চাহিদা কমেছে বর্ণপরিচয়ের।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগে শুধুমাত্র দেবসাহিত্য কুটির বর্ণপরিচয় বিক্রি করত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণিত যে বিশুদ্ধ বর্ণপরিচয়, তার প্রকাশনার সত্ত্ব একমাত্র তাদের হাতেই। এখন অক্ষয় লাইব্রেরি, শিশু সাহিত্য সংসদ, নির্মল বুক এজেন্সি-সহ একাধিক প্রকাশনা সংস্থা বর্ণপরিচয় প্রকাশ করে। স্বাভাবিক ভাবেই দেব সাহিত্য কুটিরের বর্ণপরিচয়ের বিক্রি কমেছে। কিন্তু তাই বলে চাহিদা কমেনি অক্ষর চেনার অমোঘ বইয়ের। দেব সাহিত্য কুটিরের মতোই বছরে হাজার ২৫ বর্ণপরিচয় বিক্রি করে শিশু সাহিত্য সংসদ।
দেব সাহিত্য কুটিরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজর্ষি মজুমদারের বক্তব্য, “বিদেশ থেকেও প্রবাসী বাঙালিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বর্ণপরিচয়ের জন্য। আমরা ডাকযোগে বই পাঠিয়ে দিই।”