কলকাতা, ৩ মার্চ : ১৯৩৯ সালের ৩ মার্চ। ডারবানে সেদিন শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা মধ্যে টেস্ট ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিং নেয় এবং প্রথম ইনিংসে তোলে ৫৩০ রান। এই রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ৩১৬ রানে। ২১৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৪৮১। ৬৯৬ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে অত রানের লক্ষ্যমাত্রা যতই অসম্ভব বলে মনে হোক, সেই ম্যাচের পিচ ছিল বোলারদের সাক্ষাৎ বধ্যভূমি। অথচ ম্যাচ ততদিনে ৭ দিন পেরিয়ে গেছে। চতুর্থ ইনিংসে ৭৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তিন নম্বরে নামানো হয় ২২ বছরের বিল এডরিখকে। কার্যত ‘ফাটকা’ খেলেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যামন্ড। তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে তিনি আবদার করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির। এডরিখ কথা রেখেছিলেন। করেছিলেন ২১৯ রান। ওপেনার পল গিব সাড়ে ৭ ঘণ্টা উইকেটে থেকে করেছিলেন ১২০ রান। অধিনায়ক হ্যামন্ড নিজেও ১৪০ রান করেছিলেন। কিন্তু এডরিখের ইনিংসটাই কার্যত জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড যখন পৌঁছে গিয়েছে ৫ উইকেটে ৬৫৪ রানে, তখনই নামল বৃষ্টি। জয় থেকে ব্রিটিশরা তখন মাত্র ৪২ রান দূরে। অতগুলি উইকেট হাতে থাকায় এটা মোটামুটি বলাই যায়, খেলা পুরো হলে ইংল্যান্ড জিততই। কিন্তু প্রকৃতি ‘ভিলেন’ হয়ে ম্যাচ ভেস্তে দিয়েছিল। চায়ের বিরতির পরে সেদিন আর খেলা হয়নি। এদিকে দু’দিনের বিরতি ধরে ম্যাচ ততদিনে ১২ দিনে পৌঁছেছে। ব্যাট-বলের লড়াই হয়েছিল মোট ১০ দিন বা ৪৬ ঘণ্টা। যা ইতিহাসের দীর্ঘতম টেস্ট ম্যাচ! আর ইতিহাসের দীর্ঘতম এই ক্রিকেট ম্যাচকে অমীমাংসিত রেখে দিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।