দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি দেশের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। গর্ভগৃহটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রাচীনতার দীর্ঘ ইতিহাস বজায় রাখে। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত রথযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় নতুন রথ তৈরির মাধ্যমে। ১৫ দিন ধরে চলা এই উৎসব হাজার হাজার ভক্তদের আকর্ষণ করে। রথ টানা বা রথের দড়ি স্পর্শ করতে বহু মানুষ পুরী যান প্রতিবছর রথযাত্রায়। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন মানুষ শুধু রথের দড়ি স্পর্শ করতে এত ব্যাকুল?
জগন্নাথদেব যে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান, তার নাম নন্দীঘোষ, বলরাম বা বলভদ্রের রথের নাম তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথের নাম দেবদলন বা পদ্মধ্বজ। ভক্তদের মনে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেও প্রচুর পূণ্যলাভ হয়। সেই কারণে রথের রশি একটু স্পর্শ করতে অনেক সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। শুধু রথের রশি একবার স্পর্শ করতেই প্রতি বছর বহু মানুষ রথের সময় পুরী যান। কিন্তু কেন রথের দড়ি একবার স্পর্শ করতে মানুষের মনে এত আকুলতা, তা জানেন কি?
হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথদেবের রথ হল স্বয়ং দেবতার মূর্ত প্রতীক। তাই রথের সামনে রাস্তার উপরেই সাষ্টাঙ্গে লুটিয়ে পড়ে প্রণাম করেন বহু মানুষ। বছরে এই একবারই ভক্তদের দর্শন দেওয়ার জন্য ঈশ্বর স্বয়ং মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। পুরী হোক বা মাহেশ, অথবা কলকাতায় ইসকনের রথ, একবার তার দড়ি স্পর্শ করতেই সর্বত্রই ব্যাকুল থাকেন ভক্তরা।
ভক্তদের মনের বিশ্বাস যে রথের রশি একবার স্পর্শ করলে সমস্ত পাপ মুছে যায় এবং জন্ম মৃত্যুর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অর্থাত্ মনে করা হয়, যে ব্যক্তি রথের দড়ি টানার সুযোগ পান, তাঁকে পুর্নজন্মের কষ্ট পেতে হয় না। সেই কারণে কয়ের দশক আগেও ভক্তদের মধ্যে রথের চাকার নীচে প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার প্রবণতা ছিল। তবে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।