দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ধনতেরস কুবেরের আরাধনার বিশেষ দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিনে অনেকেই সংসারে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য আনার আশায় সাধ্যমতো গয়না, বাসনপত্র বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র কেনেন। আপনি কি ইতিমধ্যেই কেনাকাটার পরিকল্পনা শুরু করেছেন? তবে মনে রাখবেন, জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী শুধু ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করলেই চলবে না — সৌভাগ্য লাভে ধনতেরসের নির্দিষ্ট শুভ মুহূর্ত অনুযায়ী কেনাকাটি করাই শ্রেয়।
কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীর সন্ধ্যায় ধনপতি কুবেরের আরাধনা করা হয়। হিন্দুদের মধ্যে রাবণ কোথাও বিশেষ পাত্তা পান না। তবে দশাননের এই দাদাটি কিন্তু উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষত বণিক মহলে দেবতা হিসাবে তাঁর প্রচুর খাতির। এই দিনটির অন্য একটি পরিচিতিও রয়েছে। ধনত্রয়োদশীর পাশাপাশি দিনটি ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। এই দিনটিকে চিকিৎসকদের ঈশ্বর বা ঈশ্বরদের চিকিৎসক ধন্বন্তরির জন্মদিন হিসাবেও মনে করা হয়। সমুদ্র মন্থনের পর এই দিনেই অমৃতের ভাণ্ড হাতে ধন্বন্তরি উঠে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটি ধন্বন্তরির জন্মদিন।
অমৃতের সেই সর্বরোগনাশক স্পর্শে দেবতারা যেমন সমস্ত রোগবালাই এবং মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্ত হয়েছিলেন, তেমনই ধনতেরস দিনটি ধন্বন্তরির জন্মতিথি হিসেবেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকের দিনে ধনতেরস মূলত পরিচিত কুবের আরাধনার শুভ দিন হিসেবে। কারণ, লক্ষ্মী বা কুবের—যাঁদের আরাধনায় ঘরে ধন-সম্পদের সমৃদ্ধি আসে—তাঁদের পুজোতে আপত্তি কারও হয় না। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিন শুভ মুহূর্তে কেনাকাটা করাই উচিত। নইলে ফল হবে উল্টো—অর্থ খরচ তো হবে, কিন্তু সৌভাগ্য বা সমৃদ্ধি আসবে না।