দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয় বছরের বিভিন্ন সময়। আর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতেই করা হয়ে থাকে ফলহারিণী কালী পুজো।
তবে এই ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য আসলে কি? আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
এই তিথিতে কালী নিজের ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা পূরণের জন্য মর্ত্যে আসেন। শাস্ত্র মতে কালী ব্যক্তির কর্মফল অনুযায়ী ফলাফল প্রদান করেন। তিনিই নিজের মধ্যে সমস্ত কর্মফল ধারণ করে রেখেছেন। কালী নিজের ভক্তের সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত করেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তি শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করতে পারবে।
কথিত আছে যে ফলহারিণী অমাবস্যা তিথিতেই জগৎ কল্যাণের উদ্দেশে স্ত্রী সারদা দেবীর পুজো করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। সারদা দেবীকে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন তিনি। তাই এই তিথিটি রামকৃষ্ণমঠ ও আশ্রমে ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত।
অন্য দিকে ১২৮০ বঙ্গাব্দে জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যায় দক্ষিণেশ্বরে সগুণরূপে পুজো করেছিলেন আদ্যাশক্তিকে। এই তিথিতে শ্রীরামকৃষ্ণ মূলত মোক্ষলাভের জন্য পুজো করেন। এই তিথিতে মরশুমী ফল দিয়ে দেবীর পুজো করা হয়। দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠে এই তিথিতে দেবীকে বিভিন্ন ফলের মালা পরানো হয়ে থাকে। ভক্তের সেবায় প্রসন্ন হয়ে দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন ও মোক্ষ প্রদান করেন।
ফলহারিণী অমাবস্যার উপায়
শাস্ত্র মতে ফলহারিণী অমাবস্যা তিথিতে দেবীকে আম, জাম, কলা, লিচু ইত্যাদি ফলের মালা নিবেদন করলে ব্যক্তির জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। নিজের ইচ্ছা পূরণের আর একটি সহজ উপায় রয়েছে। এই তিথিতে একটি মরশুমী ফল দিয়ে দেবীর পুজো করার পর পুষ্পাঞ্জলী দিন এবং কালীর সামনে নিজের মনস্কামনা ব্যক্ত করে প্রার্থনা করুন। পুজোর পর সেই ফলটি বাড়ি নিয়ে আসুন। তবে এই ফলটি ভুলেও খাবেন না। আবার ১ বছর পর্যন্ত সেই ফল বাজার থেকে কিনেও খেতে পারবেন না। এক বছরের মধ্যে প্রার্থনা পুরো হলে সেই ফলটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া উচিত।