কলকাতা, ১৭ জুলাই: ইংরেজি মাধ্যমের একটি নামী স্কুলের প্রাক্তনী দুহাজার বর্গফুট জায়গা চাইছেন। খাবারের দোকান করবেন বলে। এর জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, লর্ডস মোর এলাকা, যোধপুর পার্ক, সাউদার্ন অ্যাভিনিউ, গোলপার্ক, রাসবিহারী, দেশপ্রিয় পার্ক, টালিগঞ্জ, পাটুলি, রুবি কানেক্টর, কসবা, ইএম বাইপাস-এর উল্লেখ করে। লিখে দিয়েছেন প্রায় এক লাখ টাকার বাজেট।
এই মুহূর্তে গোটা শহরে রেস্তোরাঁ খুলতে চেয়ে কতজন জায়গা খুঁজছেন, তার তল্লাশি করলে দেখা যাবে তালিকায় প্রায় প্রথম দিকেই রয়েছে খাবারের দোকান। সামনেই পুজো। দোকান খুললেই তো কেবল হবে না। সেটাকে নেওয়ার পর এমনভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে তুলতে হবে যাতে আলোচনার বিষয় হরে ওঠে। আবার সেই সঙ্গে পুলিশ থেকে পাড়ার দাদাদেরও আশ্রয় চাই।
কেবল বেকার ও অবস্থাপন্নরা নয়, পুজোয় কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা স্থানে রেস্তোঁরা খুলতে উদ্যোগী হয়েছে। বাদ নেই কলকাতা পুরসভাও। কলকাতায় নতুন খাবারের দোকান। কলকাতা স্ট্রিট ফুডের জন্য এমনিতেই বিখ্যাত। শহরে রাস্তার ধারে ধারে স্থায়ী, অস্থায়ী খাবারের অসংখ্য দোকানগুলিকে নিয়ে এবার আধুনিক, ফুড স্ট্রিট চালু হচ্ছে মহানগরে।
পর্যটন প্রসারের লক্ষ্যে তিনটি ফুড স্ট্রিট গড়ে উঠবে কলকাতায়। কলকাতা পুরসভা জায়গা খোঁজার কাজ চালাচ্ছে। পরিকাঠামোগতভাবে কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার কর্তারা বৈঠক সেরেছেন। জানা গেছে, গঙ্গাপাড়, বাইপাসের ধার অগ্রাধিকার পেতে পারে। এক একটি রাস্তা সাজানোর জন্য এক কোটি টাকা করে ব্যয় হবে।
জানা গিয়েছে, এমন তিনটি রাস্তা বাছা হবে যেখানে কোনও খাবারের দোকান নেই বা থাকলেও হাতেগোনা। সেখানে ফুড স্টল তৈরির পরিকাঠামো তৈরিতে সাহায্য করবে পুরসভা। খাবারের গুণমান এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে স্টলগুলি। থাকবে হাত ধোয়ার সুবিধা, বায়ো-টয়লেট। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করবে পুরসভা। বিরিয়ানি চাউমিন, রোল, ফ্রায়েড রাইস, মোমো ইত্যাদির মতো খাবারের দোকান সেখানে থাকবে। বসে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।