Festival and celebrations

7 months ago

Halkhata: পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতা, কী ভাবে উত্‍পত্তি হল এটির?

Halkhata during Bengali New Year
Halkhata during Bengali New Year

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আর দু-দিন পরেই শুরু হবে বাংলা ১৪৩০ সাল। চৈত্র সংক্রান্তির পরের পয়লা বৈশাখ থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছর শুরু হয়। বাংলার ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবেও পালন করে থাকেন। তার সঙ্গে দোকানে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো ও ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। তাই বাংলা নববর্ষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে হালখাতা। বাঙালির ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই হালখাতা।

তবে আগের থেকে এখনকার দিনে হালখাতার উদযাপন অনেকটাই কমে এসেছে। আগে অনেক দোকানী হালখাতা উপলক্ষ্যে রীতিমত নিমন্ত্রণ পত্র ছাপিয়ে উত্‍সবের আয়োজন করতেন। এখন বিভিন্ন অ্যাপ ও অনলাইন শপিং-এর কারণে হালখাতার সেই আগেকার দিনের জৌলুস কমে এসেছে। কম্পিউটারেই ব্যবসার হিসেব রাখেন বেশিরভাগ দোকানীরা। তাই খাতার ব্যবহারও কমে গিয়েছে অনেকটাই। তবু নববর্ষের প্রথম দিনে দোকান পরিষ্কার করে, ফুল দিয়ে সাজিয়ে, লক্ষ্মী গণশের পুজো করা হয়ে থাকে। তার সঙ্গে থাকে ক্রেতাদের জন্য সামান্য হলেও মিষ্টিমুখের আয়োজন ও একটা অন্তত বাংলা ক্যালেন্ডার।

নতুন বছরে নতুন যে খাতায় ব্যবসার হিসেব রাখা হবে, সেই খাতাটি কোনও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করিয়ে আনার প্রথা আছে। খাতার প্রথম পাতায় সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ব এঁকে দেন পুরোহিতরা। কালীঘাট মন্দিরে এদিন ভিড় উপচে পড়ে ব্যবসায়ীদের। হিন্দুধর্মে স্বস্তিক চিহ্ন বিশেষ মঙ্গল বার্তা বহন করে। তাই যে কোনও পুজো বা শুভ অনুষ্ঠানে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক এঁকে দেওয়া হয়।

হালখাতার উত্‍স

ইতিহাস বলছে মোঘল সম্রাট আকবরের আমল থেকে পয়লা বৈশাখের উদযাপনের প্রথা শুরু হয়। সেই সময় থেকেই দোকানে দোকানে ব্যবসার হিসেব করার জন্য শুরু হয় হালখাতার প্রথা। হাল মানে নতুন, হালখাতা অর্থাত্‍ নতুন খাতা। পুরনো বছরের সব হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় নতুন খাতায় হিসেব-নিকেশ করা। মোঘল আমলে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে প্রজারা খাজনা পরিশোধ করতেন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন জমিদাররা।

You might also like!