দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- সামনেই আলোর উৎসব, মেতে উঠবে সাধারণ মানুষ। দীপান্বিতা কালিপুজো হবে মাতৃ শক্তির আরাধনা। দক্ষিণেশ্বর থেকে তারাপীঠ, সর্বত্রই মা কালীর আরাধনায় মাতোয়ারা হয়ে উঠবে। আর তেমনি মহাধুমধামে পুজিতা হন নৈহাটির বড়মা। ২১ ফুট উঁচু এই মা কালীর পায়ে পুজো অর্পণ করতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন সাধারন মানুষ।
নৈহাটির বড়মা আদপে বাড়ির পুজো। স্থানীয় সূত্রে খবর, নৈহাটির বাসিন্দা জুট মিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক যুবক তার চার বন্ধুকে নিয়ে নবদ্বীপের রাসমেলা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে কালী মূর্তির উচ্চতা দেখে তিনি স্থির করেন এমনই এক মূর্তি তৈরি করে পূজা করবেন।
তার ইচ্ছে মতন নৈহাটিতে এই মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে শুরু করেন। তারপর থেকে এই পুজোর প্রচার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছুটে আসেন মাকে দেখার জন্য। তাদের মত, বড়মা নাকি কাউকে খালি হাতে ফেরান না।
উৎসবের দিনগুলিতে সোনা রূপো এবং অন্যান্য ধাতুর অলংকার পড়ানো হয় দেবীকে। পুজোর দিন প্রায় ১০০ কেজি সোনার অলংকারে সেজে ওঠেন বড়মা। দুস্থদের মধ্যে দান করে দেওয়া হয় বড়মার প্রাপ্ত বেনারসি শাড়ি গুলি। তবে বড়মার পূজো শুরু না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোন কালীপুজো শুরু হয় না।