
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর মুম্বইয়ের জুহুর নিজস্ব বাড়িতে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে তিনি একজন অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেতা। তাঁর জীবদ্দশায় অর্জিত সম্পত্তি নিয়ে সর্বত্র জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কোনো ফাটল নেই তাঁর পরিবারের মধ্যে।
অভিনেতার সন্তানরা পাঞ্জাবের নসরালি ও ডাঙ্গন গ্রামের পৈতৃক জমি পাবেন না। এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি তিনি জীবিত থাকাকালীনই ভাইপো ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে হস্তান্তর করেছেন, কারণ বহু বছর ধরে তাঁরা এই জমি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিলেন। ধর্মেন্দ্র মায়ের গ্রাম নসরালিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাবার বাড়ি ছিল নিকটবর্তী ডাঙ্গন গ্রামে। ১৯৫০-এর দশকে মুম্বই (তৎকালীন বোম্বে) চলে যাওয়ার পর তার খুরতুতো ভাই ও তাঁদের সন্তানরা কৃষিজমিতে চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি নিজ গ্রামে গিয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে জমি হস্তান্তর করেন।
ধর্মেন্দ্রর ভাইপো বুটা সিং দেওল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ধর্মেন্দ্র কাকা আমার বাবা মনজোৎ সিংয়ের খুরতুতো ভাই ছিলেন। শেষবার তিনি গ্রামে এসেছিলেন ২০১৯ সালে, যখন তাঁর ছেলে সানি দেওল গুরুদাসপুর থেকে সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আমিও তার পক্ষে প্রচার করতে গুরুদাসপুরে গিয়েছিলাম। তার আগে, তিনি ২০১৫-১৬ সালে গ্রামে এসেছিলেন যখন তিনি আমার বাবা মনজিৎ সিং এবং আমার কাকা শিঙ্গারা সিংকে ১৯ কানাল ও ৩ মারলা জমি হস্তান্তর করেছিলেন।’ ‘যেহেতু তিনি কয়েক দশক আগেই মুম্বই চলে গিয়েছিলেন, আমাদের পরিবার তাঁর জমির যত্ন নিচ্ছিল এবং আমরা তাতে চাষ করছিলাম। তিনি কখনও তার শিকড় এবং আমাদের ভুলে যাননি’, আরও বলেন বুটা সিং দেওল।
ধর্মেন্দ্র ১৯৫৪ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের চার সন্তান—সানি ও ববি সহ দুজনের চার সন্তান বর্তমান। ১৯৮০ সালে, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স না করে, তিনি সহকর্মী অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের দুই কন্যা এষা ও আহানা জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে ধর্মেন্দ্র অসুস্থ থাকায় নভেম্বরের শুরুতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাঁর শেষকৃত্য ও প্রার্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বলিউডের একাধিক তারকা।
