দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এ শুধুমাত্র তাঁর চরিত্রের মাত্রা দেখানো হয়েছে বলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক দাবি।এই প্রোপাগান্ডামূলক ছবিকে কেন্দ্র করে অভিনেতার বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর, প্রযোজক-অভিনেত্রী পল্লবী যোশী বলেছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে অভিনেতার মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন পল্লবী। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পেরেছি কী ঘটেছে। বাংলায় বাস করেন, তাই নিশ্চয়ই রাজনৈতিক চাপে থাকতে হয় তাঁকে। তা সত্ত্বেও আমি একজন মহিলা হয়ে এই পদক্ষেপ করেছি। আপনার একজন পুরুষ হিসাবে জোট বেঁধে সত্যের জন্য লড়াই করা উচিত। আপনাকে শুধু আপনার চরিত্রের কথা বলা হয়েছে, তা বলবেন না। এটা ঠিক নয়। প্রত্যেক অভিনেতা নিজের এবং অন্যান্যদের চরিত্র সম্পর্কে জানেন। তাই একথা বলা ঠিক হয়নি। তাঁর উচিত ছিল সকলকে এই ছবি দেখতে যাওয়ার আর্জি জানানো। একজন পুরুষ হিসাবে একটু বেশি সাহসী হওয়া প্রয়োজন ছিল।”
ছবির নামবদল যে হয়েছে, তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন পল্লবী। তাঁর স্বীকারোক্তি, “এটা ঠিক এই ছবিটির প্রথমে ‘দিল্লি ফাইলস’ নাম ছিল। কিন্তু এটা শুধু ‘দিল্লি ফাইলস’ নয়। পুরো নাম ছিল ‘দ্য দিল্লি ফাইলস: বেঙ্গল চ্যাপটার’। এটা শুধুই বাংলার জন্য। আমরা কারও অন্ধকার দিক ইচ্ছাকৃতভাবে এই ছবিতে তুলে ধরিনি।” সত্যিই কি ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবি? পল্লবীর জবাব, “আমি এমন কিছু শুনিনি। যখন কোনও শিশু খেলনা পায় না, তখন সে কান্নাকাটি করে। কোনও কোনও সময় আপনাকে তাকে একবারে উপেক্ষা করতে হয়। আমিও ঠিক সেভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছি।”
বলে রাখা ভালো, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে বাংলাকে অসম্মানের অভিযোগ উঠেছে। ট্রেলার দেখে বিবেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ করেছেন গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতি শান্তনু মুখোপাধ্যায়। বাংলায় ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে এই ছবির মাধ্যমে কোনও দলকে রাজনৈতিক ফায়দা দিতে চাইছেন বিবেক, স্বাভাবিকভাবে উঠছে সে প্রশ্ন।