কলকাতা, ২৩ মার্চ : তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের কন্যা দেবলীনা কুমার নিজেকে মেধাবী বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ছবি দিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘কিছু মানুষ না ভাবে বাবা করিয়ে দিয়েছে’। সেটিকে ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হরেছে নেটনাগরিকদের মধ্যে।
দেবলীনা প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। বিয়ে করেছেন মহানায়ক উত্তমকুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে। সব মিলিয়ে দেবলীনা বিনোদন জগতে বেশ পরিচিত নাম। একটি ছবি বুধবার তিনি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। ছবিটি সেট পরীক্ষার রেজাল্ট। সেখানে দেখা গিয়েছে সবার শীর্ষে দেবলীনা কুমারের নাম। ফেসবুকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই পোস্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া।
মার্কশিটের ছবি শেয়ার করে দেবলীনা লিখলেন, ”আট বছর আগের এক ছবি পেলাম। সেট পরীক্ষায় বসেছিলাম এবং প্রথম হয়েছিলাম।” সঙ্গে লিখলেন, ”অনলাইনটা বললাম যাতে আবার কিছু মানুষ না ভাবে যে আমার বাবা এটা করিয়ে দিয়েছে। এইগুলো মাঝে মধ্যে খুজে পেলে মনে হয়ে যে অতটাও মূর্খ নই। পেটে একটু হলেও বিদ্যে আছে।”
এর পরেই শুরু হয়ে যায় নেটনাগরিকদের তোপ। পোস্ট করার দু’ঘন্টা বাদে বুধবার রাত ৮টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ার হয় যথাক্রমে ৫৪৬, ৫০ ও ৩। বৃহস্পতিবার মোট প্রতিক্রিয়া হয়েছে ৮০০-র ওপর।
অনিন্দ্য বন্ধু গুহ লিখেছেন, “‘সেট’ পরীক্ষা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নেয় না। এটা দেখে যতদূর বোঝা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত আরইটি-এর রেজাল্ট, অথবা তার পরবর্তী পি এইচ ডি অ্যাডমিশনের ভাইভা-ভোসির প্রার্থীদের তালিকা। যাঁরা নেট বা সেট পাশ করেননি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত আরইটি পাশ করলে পি এইচ ডি অ্যাডমিশনের ভাইভা-ভোসি দেওয়ার সুযোগ পান। তাতে পাশ করলে শুধু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পি এইচ ডি করার সুযোগ পান। এটা নেট বা সেট না পরীক্ষা দিয়ে বা না পাশ করে পি এইচ ডি করার আইনসম্মত উপায়।“
তিনটি হাস্যমুখ-সহ অর্পিতা মোদক লিখেছেন, “ম্যাডাম আপনার নিজস্ব কমেন্ট সেকশনে কিছু বলা গেলো না বলছিলাম এতটুকু ধারনা আছে আপনার সেট সম্পর্কে? রবীন্দ্রভারতী কবে থেকে সেট নেওয়া শুরু করলো? তাহলে সবাইকে বলতে হবে তারাও সেট দেবে রবীন্দ্রভারতী থেকে। নিজেকে এমন সেলিব্রিটি নাইবা করতেন সবার কাছে।”
সঞ্চিতা তা লিখেছেন, “টুকলি করে পাশ“ (সঙ্গে তিনটি হাস্যমুখ)। শান্তনু ভট্টাচার্য লিখেছেন, “সে জনগণের জানাই আছে, বাবা তোলামূলের নেতা তো!” মাইকেল মধু লিখেছেন, “তবে কি কোনো কঠিন খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল?” জুয়েল শেখ লিখেছেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণে চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগে , আমি মনে করি পৃথিবীর বুকে কোথাও এতো বড়ো চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে কারও জানা নেই।”