জাপান এবারে জি-২০ সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠকে যোগদান করেনি| জাপান সরকার বলেছে তাদের বাজেট সেসন চলছে| তার ফলে জাপানের বিদেশ মন্ত্রী ভারতে উপস্থিত হয়ে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান করতে পারবে না| তবে কোনও উচ্চ পদস্থ সচিব কাউকে জাপান পাঠায়নি| মনে হয় জাপান সরকার পরিস্কার করে ৱুঝতে পেরে গিয়েছিল জি-২০ বিদেশ মন্ত্রীদের সম্মেলনে থেকে কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা একেবারে অসম্ভব হবে| কারণ পশ্চিমী দেশগুলি যখন ইউক্রেন এবং রুশ যুদ্ধে সামিল| তার ফলে জি-২০ সম্মেলন থেকে শান্তির বার্তা দেওয়া একেবারে অসম্ভব| সেই কারণে
জাপান
এবারে
বিদেশ
মন্ত্রীর
সম্মেলন
থেকে
নিজেদের
সরিয়ে
রাখলো?
তার
উত্তর
পাওয়া
সম্ভব
হচ্ছে
না|
তবে
আগামি
দিনে
রাষ্ট্র
প্রধানদের
সঙ্গে
বৈঠকে
জাপান
উপস্থিত
থাকে কিনা সেটাই দেখাৰ বলে মনে করতে শুরু করে দিয়েছেন কূটনীতিকগণ| জি-২০ সম্মেলনে এবারে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা গেল না| সম্মেলনের নিয়মরক্ষার্থে একটি নথি প্রকাশ করা হলো মাত্র| তাতে সব কটির দেশের সিলমোহর
লাগালো
ভারত|
তবে
এর
মূল্য
কতখানি
তা
আগামি
ভবিষ্যত
বলতে
পারবে
বলে
জানতে
পারা
গিয়েছে|
আয়োজক
দেশ
হিসাবে
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদি
গরিব
দেশগুলির
উন্ননেয়র
বার্তা
তুলে
ধরতে
কম
চেষ্টা
করেননি|
তিনি
নতুন
দিশা
দেখাতে
সক্ষম
হয়েছিলেন|
কিন্তু
রাশিয়া
ইউক্রেন
যুদ্ধ
তাকে
সফল
হতে
দিল
না|
তার
ফলে
রাশিয়া
আমেরিকার
সংঘাত
প্রকাশ্যে
এসে
উপস্থিত
হলো
জি-২০ সম্মেলনে|
বৈঠকে
শেষে
রেওয়াজ
অনুসারে
এক
সঙ্গে
ছবি
তোলার
ব্যাপারে
আপত্তি
দেখা
দিতে
শুরু
করে|
তার
ফলে
সবার
একসঙ্গে
ছবি
তোলা
সম্ভব
হয়নি|
সম্মেলনের
শেষে
সব
বিদেশমন্ত্রীরা
দাঁড়িয়ে
এক
সঙ্গে
ছবি
তোলা
একটি
প্রচলিত
রেওয়াজ| চিনের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলার প্রশ্নে আমেরিকার বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন
এড়িয়ে
গিয়েছেন|
তিনি
আবার
রাশিয়ার
বিদেশ
মন্ত্রীর
সঙ্গে
ছবি
তুলতে
আগ্রহ
প্রকাশ
করেননি|
তার
ফলে
বিদেশ
মন্ত্রীদের
যে
সম্মেলন
শুরু
হয়েছিল
দিল্লিতে
দেখতে
পাওয়া
গেল
একেবারে
শূন্যতে
পরিণত
হয়েছে|
এর
থেকে
কোনও
ফললাভ
করা
যায়নি|
তবে
সেটার আগাম অনুভব করতে পেরেছিল জাপান সরকার? দিলিতে বিদেশ মন্ত্রীদের সম্মেলনে জাপান বিদেশ মন্ত্রী পাঠাতে নারাজ ছিল| বাজেটের কারণ দেখিয়ে সম্মেলনকে কি এগিয়ে গেল জাপান? তার ফলে তারা বিদেশ মন্ত্রীকে
সম্ভবত
এই
সম্মেলনে
পাঠাতে
ইচ্ছা
প্রকাশ
করেনি|
দেশে
বাজেটের
অজুহাত
দেখিয়ে
জাপানের
বিদেশ
মন্ত্রী
দিল্লি
আসাটা
একেবারে
বন্ধ
করে
দিয়েছিল
জাপান
সরকার|
জাপান
সরকার
অযথা
সময়
নষ্ট
করতে
চায়
না|
তারা
সব
সময়ে
সময়ের
মূল্য
দিতে
চায়|
জাপান
সেটাই
বরাবর
করতে
ইচ্ছা
প্রকাশ
করে|
সেখানে
গিয়ে
কোনও
লাভ
হবে
না
সেখানে
উপস্থিত
হয়ে
সময়ের
অপচয়
করে
না|
তারা
সময়ের
দামকে
টাকার
চেয়ে
বেশি
করে
গুরুত্ব
দিয়ে
থাকে
জাপান|
সময়কে
মূল্যবান
বলে
মনে
করে|
শ্রমকে
মূল্যবান
বলে
গ্রহণ
করে
থাকে|
তার
ফলে
জাপান
উন্নয়নে
বহু
দূর
প্রযন্ত এগিয়ে
গিয়েছে|
চিনের
চেয়ে
বেশি
এগিয়ে
যাওয়ার
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করতে
শুরু
করে
দিয়েছে|
জাপান
এখন
সামরিক
দিক
দিয়ে
শক্তিশালী
হওয়ার
চেষ্টা
করছে| জাপানের পাশে যদি চিন শক্তিশালী সামরিক দিক দিয়ে হওয়ার চেষ্ট করে তাহলে জাপান চুপ করে বসে থাকতে পারে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে জাপান সরকার| এদিকে জাপানে সঙ্গে ভারতের বিসাল আর্থিক বিনিয়োগের যোগসূত্র রচনা হয়েছে| ভারতের কৃষিতে জাপান কয়েক কোটি ডলার বিনিয়োগ করে রেখেছে| ভারত এখন জাপানের ওপরে নির্ভরশীল কৃষি পণ্যে| জাপান ছাড়া ভারত এক পাও অগ্রসর হতে পারবে না| ভারত জাপান কৃষি ক্ষেত্রে
বিশাল
লেনদেন
করে
থাকে|
তথ্য
প্রযুক্তি
দিক
দিয়ে
জাপানের
ওপরে
ভারত
নির্ভরশীল
বলা
যেতে
পারে|
জাপানই
এখন
ভারতের
সবচেয়ে
অকৃত্রিম
রাষ্ট্র
বলা
সম্ভব
যা
বিদেশ
মন্ত্রী
জয়শঙ্কর
প্রকাশ
করে
থাকেন|