দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ভারতের মতো বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্য লোক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এর ফলে দেশের জনসংখ্যা যে আরও বেড়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ভবিষ্যতের জন্য জন্মহার বাড়াতে অন্তত দুই বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর সরকার এমন একটি আইন আনার পরিকল্পনা করছে যাতে কেবলমাত্র দুই বা ততোধিক সন্তানধারীরা স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
চন্দ্রবাবু নাইডুর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনও। তিনিও জনগণের কাছে ১৬টি করে সন্তান নেওয়ার আবেদন করেছেন। '১৬'সংখ্যাটি হয়তো রসিকতা। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি। চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন,"অতীতে, আমি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য জন্মহার বাড়াতে হবে। রাজ্য সরকার এমন একটি আইন আনার পরিকল্পনা করছে, যা শুধুমাত্র দুই বা ততোধিক সন্তানধারীগের স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেবে।”
অন্যদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ, লোকসভা কেন্দ্র কমানোর একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর ফলে একটা প্রশ্ন ওঠে, কেন আমরা কম সন্তান ধারণে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখব? কেন আমরা ১৬টি করে সন্তান ধারণের লক্ষ্য নেব না?”বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফার্টিলিটির হার ক্রমে কমা শ্রমের ঘাটতি এবং সামাজিক ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। এর মধ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার একটি বৃহত্তর অংশর বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে। স্বাভাবিক কারণেই বিষয়টি নিয়ে সকলেই চিন্তিত।