জোহানেসবার্গ, ২৮ মে : সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে সাংসদদের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল। এনসিপি (সিপি) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের নেতৃত্বাধীন একটি দল এখন দক্ষিণ কোরিয়ার জোহানেসবার্গে রয়েছে। সেখানে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের স্বরূপ তুলে ধরেন প্রতিনিধি দলের সদস্য কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ও বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
জোহানেসবার্গে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, "সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না, সন্ত্রাসবাদের অন্য কোনও প্রকাশ নেই। সন্ত্রাসবাদ একটি সম্পূর্ণ অশুভ শক্তি যা এই বিশ্বের রাজনীতি থেকে নির্মূল করতে হবে। আর সেই কারণেই, পহেলগামে এই ভয়াবহ হামলার পর, যেখানে আমাদের ২৬ জন নাগরিককে ঠান্ডা মাথায় মারা হয়েছিল, আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি যাতে সেইসব দেশগুলির বিরুদ্ধে একটি বিশ্বব্যাপী ঐক্যমত্য তৈরি করা যায় যারা সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ভারত সর্বদা একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীতে বিশ্বাস করে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীতে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমরা সন্ত্রাসবাদকে সহ্য করব না এবং সহ্য করতে পারি না, যা ৪৫ বছর ধরে পাকিস্তান পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।"
বিজেপি সাংসদ অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেছেন, "পহেলগামে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষজনকে বাছাই করা হয়েছিল এবং তারপর তাঁদের সন্তান এবং স্ত্রীদের সামনে হত্যা করা হয়েছিল। টিআরএফ এই হামলার দায় নিয়েছে। পাকিস্তান হল সেই দেশ যারা ভারত এবং সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়।" অনুরাগ বলেছেন, "পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ১৫ দিন পর যখন পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অসাধারণ কিছু করেছিল। ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল।"