দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে জেলে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে যেন তিনি একজন দাগি অপরাধী। এমন কী সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা বৈষম্য করা হচ্ছে। দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ হচ্ছে যা দাগি অপরাধীদের প্রতিও করা হয় না।
আম আদমি পার্টির সাংসদ তথা দলের প্রথমসারির নেতা সঞ্জয় সিং শনিবার এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, জেল বন্দি দাগি অপরাধীরাও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ পায়। আধ ঘণ্টা একান্তে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুনীতাকে কথা বলতে হচ্ছে মুলাকাত জানালা দিয়ে। রবিবার মুলাকাত জানালা দিয়েই কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলবেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
মুলাকাত জানালা হল জেলে এক ধরনের বিশেষ জানালা, যা আসলে মোটা দেওয়ালের দু-প্রান্তে লোহার জাল দেওয়া। লোহার জালের একদিকে বন্দিকে হাজির করা হয়। আর এক প্রান্তে হাজির করা হয় সাক্ষাৎপ্রার্থীকে। দু’জনেই শুধু মুখমণ্ডল দেখার সুযোগ পান।
কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুনীতা বেশ কয়েকবার ওই ব্যবস্থার মাধ্যমে কথা বলেছেন। পাঁচ মিনিটের কথোপকথনের পুরোটাই জেল কর্তৃপক্ষ রেকর্ড করে রেখেছে। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে ভিডিও কলে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই কলও কেরর্ড করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
আপ সূত্রে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মান দলীয় সুপ্রিমোর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের আর্জি জানিয়েছিলেন। রবিবার তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে। সেই মতো পাঞ্জাব পুলিশের কর্তারা তিহাড় জেলের ভিতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
শনিবার জেল কর্তৃপক্ষ মেল করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছে, তিনি রবিবার পাঁচ মিনিটের জন্য মুলাকাত জানালা দিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। আপ নেতাদের বক্তব্য, দু’জন মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত মুলাকাত জানালা দিয়ে কথা বলতে হবে। অথচ জেল কোডে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিধান রয়েছে।
আপের অভিযোগ নিয়ে তিহাড় কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মদকাণ্ডে অভিযুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বর্তমানে সেখানে বন্দি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি হবে। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারী সংস্থার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল। হাইকোর্ট তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।