দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আর কয়েক দিন পরই বাঙালির ক্রিসমাস পৌষ পার্বণ পালিত হবে, পৌষ পার্বণ মানেই নতুন চাল আর গুড়ের বানানো পিঠে, পায়েস। বাংলায় এই দিনটা পৌষ সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ নামে পালিত হলে ও কোথাও লোহরি, কোথাও পোঙ্গাল, আবার কোথাও উত্তরায়ণ নামে পালিত হয়।
তবে বাঙালির কাছে পৌষ সংক্রান্তি মানে হল পিঠেপুলির উৎসব। পৌষ মাসের শেষ দিন পালিত হয় এই উৎসব। সেই প্রাচীনকাল থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। অনেকেই জাঁকজমকপূর্ণভাবে পৌষ সংক্রান্তি পালিত হয়। এ দিন অনেকের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোও হয়ে থাকে। এ দিন পুলিপিঠে, পাটিসাপটা, আস্কে পিঠে, ভাজা পিঠে, ক্ষীরপুলি, দুধপুলি, সরুচাকলি, গোকুল পিঠে ইত্যাদি বানানো হয়। নতুন চালের পিঠে আর পাটালি গুড়ে জমে ওঠে পিঠে-পার্বণ।
গ্রামের দিকে মকর সংক্রান্তিতে পিঠে রান্না করা হলেও, শহরে তা আর দেখা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মিষ্টির দোকানে মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।তবে যদি আপনি ট্রাডিশন বজায় রাখতে চান তবে কয়েকটা উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সরুচাকলি। জেনে নিন এর উপকরন ও প্রনালী-
২ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
১ কাপ কলাইয়ের ডাল
১ চা চামচ মৌরি
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
১ টেবিল চামচ ঘি
প্রথমে কলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে রাখুন। ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখলে ভাল। গোবিন্দভোগ চালটাও ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভেজানো চাল ও ডাল একসঙ্গে বেটে নিন। এতে তিন-চার চামচ জল দেবেন। ব্যাটার খুব ঘন যেন না হয়। একটু পাতলা ব্যাটার তৈরি করবেন। প্রয়োজন বুঝে জল মেশাতে পারেন। এবার ওই মিশ্রণে মৌরি এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন মিশিয়ে নিন।
একটি নন-স্টিক প্যান মাঝারি আঁচে গরম করুন। এর উপর ঘি ব্রাশ করুন। একটা গোলাকার চামচ ব্যবহার করুন। নন-স্টিক প্যানে এক চামচ সরুচাকলির ব্যাটার দিন এবং গোলাকার চামচের সাহায্যে সেটা গোল করে ছড়িয়ে দিন। উভয় দিক ভাল করে ভেজে নিন। খুব কড়া করে ভাজার প্রয়োজন নেই। ব্যস তৈরি সরুচাকলি। ঠান্ডা ঠান্ডা পাতলা নলেন গুড় দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম সরুচাকলি।