দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই পৌষ মাস। আর এই সময় ভরা শীতে একটু পীঠে না বানালে চলে। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম মন ভালো করা ক্ষীরের পাটিসাপটা।
উপকরণ :
ময়দা ১ কাপ,
নতুন আতপ চালের গুঁড়ো ১/২ কাপ,,
সুজি ১/৪ কাপ,
চিনি ১/২ কাপ,
দুধ ৩ কাপ,
সাদা তেল ১/২ কাপ অথবা সমপরিমাণ গলিয়ে নেওয়া ঘি
প্রণালী :
আতপ চাল ১০০ গ্রাম নিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে ভালো ভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে (সব টুকু একসাথে দরকার না হতেও পারে) ।
বড় একটা গামলা নিয়ে এতে ময়দা, চাল গুঁড়ো, সুজি ও চিনি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এর মধ্যে অল্প অল্প করে দুধ মিশাতে হবে আর নাড়তে থাকতে হবে । দেখতে হবে কোনো দানা যেন না পাকিয়ে যায় ।
এই মিশ্রণটি অর্ধতরল হবে । সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দুধ মেশানোর আগেও সেই রকম তরল মিশ্রণ হয়ে যেতে পারে । বেশি জমাট হয়ে গেলে সামান্য দুধ দরকার হতে হবে । আর খুব পাতলা হয়ে গেলে সামান্য চাল গুঁড়ো মিশানো যেতে পারে ।
এরপরে মিশ্রণটি আধ ঘন্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে ।
অন্য দিকে আগের থেকে ক্ষীর বানিয়ে রাখতে হবে । আমাদের অন্তত ২০০ গ্রাম ক্ষির দরকার হবে । এই পরিমান ক্ষীর বা নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ নেওয়া যেতে পারে।
এবারে মাঝারি আঁচে একটা চাটু / তাওয়া গরম করতে হবে । তাওয়া গরম হলে হাতায় করে পাটিসাপটার মিশ্রণ টাওয়ার ওপরে দুই হাতা দিয়ে হাতার সাহায্যে গোল করে ছড়িয়ে দিতে হবে ।লালচে পাটিসাপটা বানাতে চাইলে পাটিসাপটা গুলো একটু কড়া করে ভাজতে হবে । তাই ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে ।
এরপরে ক্ষীর দুই চামচ নিয়ে পাটিসাপটার একধারে লম্বা লম্বি ভাবে ছড়িয়ে দিয়ে পাটিসাপটা টি সেই ধার থেকে খুন্তির সাহায্যে আস্তে আস্তে গুটিয়ে দিতে থাকতে হবে । ক্ষীরের মিশ্রণটি এভাবে সম্পূর্ণ ভাবে পাটিসাপটার মধ্যে চলে যাবে । তাহলেই লালচে পাটিসাপটা তৈরী । একটু কড়া ভাজার জন্য এটার স্বাদ অনেকেই বেশি পছন্দ করে থাকেন !
সাদা ধরণের পাটিসাপটা বানাতে গেলে পাটিসাপটার মিশ্রণ তাওয়ার ওপরে দিয়ে অপেক্ষা না করেই ক্ষীর দিয়ে আস্তে আস্তে গুটিয়ে ফেলতে হবে । এভাবে কম কম ভাজা নরম নরম সাদা পাটিসাপটা বানানো যাবে !
পাটিসাপটার মিশ্রণ হাতায় করে সমান ভাবে না ছড়াতে পারলে আরো অন্য একটা পদ্ধতি তে কড়া যেতে পারে । তাওয়া তে পাটিসাপটার মিশ্রণ দিয়ে সাঁড়াশি দিয়ে তাওয়া টা ধরে একটু ঘুরিয়ে মিশ্রণটি সব জায়গায় ছড়িয়ে সমান গোল আকার বানানো যায় । এই পর্যায়গুলো ভিডিওতে দেখলে সুবিধা হবে বুঝতে ।
আর এইভাবেই সব পাটিসাপটা গুলো তৈরী করা হয়ে যাবে । তারপর হালকা গরম বা ঠান্ডা করে এই ক্ষীরের তৈরী সুস্বাদু পাটিসাপটা খাওয়া যাবে।