দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড়মাস ব্যাপী দৌঁড়ঝাপের ইতি! লোকসভা ভোটের রেজাল্ট নিয়ে চর্চা গোটা দেশে। প্রিয় দল জেতার উচ্ছ্বাসের টুকরো ছবি গোটা দেশে। আপনিও কি সেই দলে? প্রিয় দল জেতার আনন্দে বাড়িতে উদযাপন করতে চান? তাহলে আপনার জন্য রইল মেনকোর্স থেকে একেবারে শেষপাতের ডেসার্ট অবধি রেসিপি।
গন্ধরাজ চিকেন পাতুরি
উপকরণ
৩০০ গ্ৰাম বোনলেস চিকেন, ৩ টেবিল চামচ পোস্তবাটা, ৩ টেবিল চামচ নারকেলবাটা, আধ চা চামচ রসুনবাটা, ১.৫ চা চামচ কাঁচা লঙ্কাবাটা, ১ চা চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, ৩ চা চামচ লেবুর রস, ১/৪ কাপ সাদা তেল, স্বাদ মত নুন, ১৫ টি কুমড়ো পাতা, ১ টি সুতোর রিল, ১৬ টি গন্ধরাজ লেবুর পাতা, পরিমাণ মতো ভাজার জন্য সামান্য সাদা তেল।
প্রণালী
চিকেন কিমা বানিয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে চিকেনের কিমা নিয়ে, তার মধ্যে পোস্তবাটা, নারকেলবাটা, রসুনবাটা, কাঁচা লঙ্কাবাটা ও ১ টি গন্ধরাজ লেবুর পাতাবাটা, গন্ধরাজ লেবুর রস, সাদা তেল ও গোলমরিচগুঁড়ো পরিমাণ মতো নুন দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার একটি কুমড়ো পাতা ধুয়ে হালকা সেঁকে নিযন তাওয়ায়। তার মধ্যে এই মিশ্রণটি ৩ টেবিল চামচ নিয়ে, উপরে একটি গন্ধরাজ লেবুর পাতা রেখে খুব ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এবার একটি ফ্রায়িং প্যান তেল গরম করে এরমধ্যে একে একে পাতুরিগুলো দিয়ে, ঢিমে আঁচ রেখে ঢেকে দিন উপর থেকে। বারে বারে উলটেপালটে ভেজে নিতে হবে। চারিদিকে সুন্দর লালচে কালার চলে এলে, নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাটন রোগান জোশ
উপকরণ
মাটন ১ কেজি, সরষের তেল ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার, তেজপাতা ১টা, ছোট এলাচ ৪-৫টা, বড় এলাচ ২টো, লবঙ্গ ৭-৮টা, গোটা দারচিনি টুকরো ২টো মতো, আদা-রসুন বাটা ২ চা-চামচ, রতনজোত ৪-৫টো, দই ১০০ গ্রাম, ঘি ২০০ গ্রাম, ধনে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, আদা গুঁড়ো ২ চা-চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ৩ চা-চামচ, হিং গুঁড়ো ২ চা-চামচ, গরম মশলা।
প্রণালী
ম্যারিনেট করতে মাংসের সঙ্গে ১০০ গ্রাম টক দই, ১ চা-চামচ গরম মশলা ও আধ চা-চামচ নুন মিশিয়ে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন। আলাদা পাত্রে বাকি ১০০ গ্রাম দইয়ের সঙ্গে প্রতিটা গুঁড়ো তথা ধনে-জিরে-আদা-লঙ্কা মিশিয়ে নিন। সঙ্গে মেশান হিং-ও। প্রেশার কুকারে সরষের তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফেলে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। কষিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না দই থেকে জল বেরিয়ে এসে শুকনো শুকনো হয়ে আসছে। হয়ে এলে পরে দইয়ের মিশ্রণটুকু ঢেলে নাড়তে থাকুন। দুটো বিষয় ভাল করে মিশে গেলে প্রেশার কুকার আটকে বেশি আঁচে চার থেকে পাঁচটা মতো সিটি দিতে হবে। এরপর গ্যাস কম আঁচ করে আরও একটি সিটি পড়বে। মাংস নরম হয়ে এলে এক পাত্রে ঘি গরম করে তাতে রতনজোত ফেলে রং বদলানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঘি মোটামুটি মরচে লাল রঙা হয়ে এলে ইতিমধ্যেই তৈরি হওয়া মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
বাসন্তী পোলাও
উপকরণ
চাল, কাজু বাদাম, কিসমিস, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, গুঁড়ো গরম মশলা, হলুদ গুঁড়ো, আদা, চিনি, ঘি, সাদা তেল
প্রণালী
পরিমাণ মতো চাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিন। তারপর ঘি আর হলুদ দিয়ে চালটাকে ভাল করে মেখে আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। কড়াইতে ঘি দিয়ে কাজু আর কিসমিস হালকা করে ভেজে নিন। ভাজা কিসমিস আর কাজু তুলে একপাশে সরিয়ে রাখুন। পাত্রে আরও একটু তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ আর দারচিনি দিয়ে দিন। আদা বাটা দিয়ে হালকা ভাজুন। তারপর চাল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে ৩-৪ ফোটা গোলাপ জলও দিতে পারেন। এবার যত কাপ চাল নিয়েছেন ঠিক তার ডাবল কাপ জল আন্দাজমতো পাত্রে দিয়ে নুন আর চিনি দিয়ে দিন। ভাজা কাজু আর কিসমিসগুলো দিন। জল শুকিয়ে আসার পর চাল ভাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। এবার নুন-চিনি চেখে ঘি আর গুঁড়ো গরম মশলা ছড়িয়ে মিশিয়ে দেবেন। ব্যস, আপনার বাসন্তী পোলাও তৈরি।
জম্পেশ খাওয়ার সঙ্গে শেষপাতে মিষ্টি হবে না, তাও আবার হয় নাকি? রইল আমের পায়েসের রেসিপি
উপকরণ-
পাকা আম দুটো, দুধ এক লিটার, গোবিন্দ ভোগ চাল, চিনি, কাজু, কিসমিস, আমন্ড, ছোট এলাচ।
প্রণালী-
আমকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে মিক্সার গ্রাইন্ডারে অল্প ঘুরিয়ে নিন। এতে আমের পেস্ট তৈরি হবে। এরপর দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এবার এই ঘন দুধের মধ্যে চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে চিনি ও নুন মিশিয়ে দিন। চিনি থেকে যে জল বের হবে তা শুকিয়ে কিছুটা ঘন হয়ে এলে কিসমিস ও বাদাম দিয়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে এর মধ্যে আমের পেস্ট দিয়ে নেড়ে ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিন। এরপর সার্ভিং ডিশে পায়েস ঢেলে উপরে বাদাম ও কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে দিন। চাইলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে পারেন আমের পায়েস।