Brain Teaser

1 year ago

Crocodile World: কুমিরের কি থাকে এক অতিরিক্ত অনুভূতির ইন্দ্রিয়?

Crocodile (File Picture)
Crocodile (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কুমিরের অনুভূতি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করার পরে সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে - যা মননশীল মানুষকে চমকে দিতে পারে। গবেষণার বিষয় ছিল কুমিরের আবেগ। আবেগ যে কেবল মানুষের আছে তা নয়। বিভিন্ন প্রাণীই কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করে। তবে এক প্রাণী কি অন্য প্রাণীর কণ্ঠ শুনে পরিস্থিতি বুঝতে পারে? এক গোত্রের প্রাণীর আবেগ অনুভূতি কি অন্য গোত্রের প্রাণী বুঝতে সক্ষম? এটিও গবেষণার বিষয় বটে।  প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি: বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষায়, নীল নদের কুমির মানুষ ও বনমানুষের শিশুর কান্নার প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা বুঝতে একটি পরীক্ষা করা হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, মানব শিশুর কান্নার শব্দে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় কুমির। শুনতে রূপকথা মনে হলেও আসলেই এমনটা হচ্ছে। কুমিররা মানুষের ও বানরের বাচ্চার কান্নার শব্দে আকৃষ্ট হয় বলছে গবেষণা। এতে একটা জিনিষ খুবই প্রমাণ হয় যে মানুষের মতো না হলেও মনুষ্যেতর অনেক প্রাণীর অনুভূতি আছে। এই গবেষণা অবশ্য মূলত কুমিরকে নিয়ে।

ফ্রান্সের সিএনআরএস-এর গবেষকরা বলেছেন,নীল নদের কুমিরগুলো বনমানুষ ও মানুষের বাচ্চার কষ্টের মাত্রা পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। এমনকি অনেকক্ষেত্রে এই শনাক্তকরণ বা অনুভূতি বোঝার ক্ষেত্রে তারা মানুষের চেয়েও বেশি গভীরতায় স্তন্যপায়ী শিশুদের আবেগ বুঝতে পারে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, সম্ভাব্য শিকারের যন্ত্রণা পরিমাপ করার জন্য এটি কুমিরের একটি সহজাত ক্ষমতা হতে পারে। গবেষণায় প্রয়োজনে গবেষকদল একটি গবেষণা ডাটাবেস থেকে শিশুর কান্নার শব্দ সংগ্রহ করেছেন। এসব শব্দে ভিন্ন ভিন্ন স্তরের কষ্ট প্রকাশিত হয়। শিশুগুলো মূলত তাদের মাকে ডাকার জন্য কিংবা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কেঁদেছিল। বিজ্ঞানীরা কান্নার মধ্যে ১৮টি ভিন্ন ভেরিয়েবল শনাক্ত করেন। এর মধ্যে রয়েছে তাদের পিচ, সিলেবল সংখ্যা, সময়কাল, বিশৃঙ্খল এবং সুরেলা শব্দ ইত্যাদি। গবেষকদল, এই সমীক্ষার জন্য মরোক্কোর ক্রোকোপার্ক-এ গিয়ে অসংখ্য পুকুরে থাকা প্রায় ৩০টি কুমিরকে বেছে নেন। শিশুদের কান্নার প্লেব্যাকগুলি চালানো হলে কুমিরগুলির মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে কুমিরগুলো প্লেব্যাকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং শিশুর কান্নার শব্দের মানে বোঝার জন্য তারা মুখে বিভিন্ন শব্দ করে। এভাবেই একদিন বাইরের আঘাতে গাছের প্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করেছিলেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। এটা জীব তত্ত্বের গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেই মনে করেন অনেক বিজ্ঞানী।

You might also like!