দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনার রেশ এখনও দেশ থেকে যায় নি। এর মধ্যেই শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। চিন্তার বিষয় হল অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণের পরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে 'পপকর্ন লাং'-এর প্রবণতা। সারাজীবন থেকে যেতে পারে এর প্রভাব, এমনটাই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে উঠছেন অনেকেই। তবে তারপরও চিন্তা কমছে না । অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ সেরে গেলেই রোগীর ফুসফুসকে রীতিমতো কাবু করে দিচ্ছে 'পপকর্ন লাং'। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরেই 'পপকর্ন লাং'-এ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, ছুটি পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ফের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাদের ফিরতে হচ্ছে হাসপাতালে। সেই শিশুদের ফুসফুসর সিটি স্ক্যান করে দেখা গেছে সংক্রমণের ফলে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠগুলো পপকর্নের মতো ফুলে উঠেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে 'পোস্ট ইনফেকশন ব্রঙ্কিওলাইটিস অবলিটারেন্স' বা পিবো বলা হয়। চলতি ভাষায় বলে'পপকর্ন লাং'। পপকর্ন লাং-এ অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের আদানপ্রদান ব্যাহত হয়। ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন থেকে যেতে পারে এই রোগের সুদূরপ্রসারী প্রভাব। এই রোগের মূল চিকিৎসা প্রথমে অক্সিজেন থেরাপি ও নেবুলাইজেশন এবং শেষে ইনহেলার থেরাপি।