নয়াদিল্লি, ২ জানুয়ারি : সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি স্থগিত রইল। মামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে নোটিস দিয়ে জবাব চাইল সর্বোচ্চ আদালত। কামদুনিতে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং আট অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।
কামদুনি মামলায় সুবিচার চেয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন মৃতার পরিবার এবং প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির প্রথমদিন ছিল। মামলায় যুক্ত সব পক্ষের থেকে জবাব চেয়ে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় গত শুক্রবার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নিম্ন আদালতে যাদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই সাজা রদ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যেসব অভিযুক্তদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত, তাদের বেকনসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা রায়ের পরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, শেষ দেখে ছাড়বেন। সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তাঁরা। তারপরই দেখা যায়, নির্যাতিতার ভাই শীর্ষ আদালতে একটি পৃথক মামলা করেন।
এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই সময় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় আদালত। সেই কথাও আজ উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ফের হেফাজতে নিয়ে বা জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যায়, আদালত এই প্রশ্নও তোলে।