দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন 'একজন ফুলটাইম সাংসদ থাকলে তিনি মানুষের জন্য আরও ভালো কাজ করতে পারবেন'। এর পর থেকেই ঘাটালের রাজনৈতিক মহলে মতামতের বন্যা। তবে কি রাজনীতি থেকে সরে যেতে চাইছেন দেব?
ইতিমধ্যেই জেলার কর্মীদের মধ্যে চলছে গুজগুজ-ফিসফাস।
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। INDIA জোটের আসনই এখন লক্ষ্য সমগ্র রাজনৈতিক মহলের। এরই মধ্যে ঘাটালের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের প্রার্থী কে হবে? তা নিয়ে এখন থেকেই চর্চা তুঙ্গে।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই দেবের বাড়ি। তারকা হলেও তাঁর ‘ভূমিপুত্র ফ্যাক্টর’ কাজ করেছিল বিস্তর। বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। ২০১৯ সালেও ঘাটালে তাঁকেই সৈনিক করে তৃণমূল। BJP-র তরফে প্রতিপক্ষ ছিলেন ভারতী ঘোষ। কিন্তু, দেবের জাদু এই বারও কাজ করে। ব্যবধান কমলেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি।
অন্যান্য তারকাদের তুলনায় নিজের কেন্দ্রে তাঁর ‘হাজিরার হালহকিকত’ অনেকটাই ভালো। কিন্তু, তার পরেও কেন দেবের কণ্ঠে এই সুর! এই নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ঘাটালের রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, দেব এবং প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের ‘সম্পর্ক সমীকরণ’।
এই যাবতীয় জল্পনা প্রসঙ্গে ঠিক কী বলছেন তিনি? দেবের ‘ফুল টাইম সাংসদ’ মন্তব্য প্রসঙ্গে শঙ্কর দলুই বলেন, ‘যে যাঁর অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলেছেন। দল বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে। দেব কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কথাটি বলেছেন তিনি জানেন। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, দেব খুব সচেতনভাবে কথাটি বলেছেন। তিনি হয়তো ভেবেছেন হোলটাইমার কেউ দায়িত্ব পেলে মানুষের কাছে আসা যাওয়া বাড়বে। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
দেব নিজের মনের কথা বলেছেন এবং সেখানে অন্তর্দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই বলেই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন এই বিধায়ক। অন্যদিকে, ঘাটালের তৃণমূল নেতা তথা দেব ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত রামপদ মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সাক্ষাৎ ছিল। ওই অংশটুকু কেটে দেখানো হয়।’ অর্থাৎ ফুল টাইম সাংসদ কথাটি একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে বলা হয় বলে দাবি করেন তিনি।