দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সেমিনারে অংশ নিতে গিয়ে নেপালে আটকে পড়েছেন বাংলার তিন গবেষক। গত দু’দিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে কাঁপছে ‘এভারেস্টের দেশ’। যদিও আজ, বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, এখনও চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ, চলছে সেনাবাহিনীর টহল। আতঙ্কে নেপাল ছাড়ছেন বহু ভারতীয় নাগরিক। তবে এখনও সে দেশে আটকে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা, কোচবিহারের দিনহাটা ও জলপাইগুড়ির তিন গবেষক। তাঁদের সঙ্গে ত্রিপুরার এক গবেষকও আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পরিবারের উদ্বেগ আরও বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে যান ওই তিনজন গবেষক। তাঁদের নাম মণিহার তালুকদার, সৌভিক চক্রবর্তী এবং ময়ূখ ভট্টাচার্য। আগরতলার যে গবেষক আটকে রয়েছেন তাঁর নাম স্বপ্নজিৎ চৌধুরী। চারজনই পিএইচডি স্কলার। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব’ সম্পর্কিত বিশ্ব কংগ্রেস (CCIE ২০২৫) এ যোগ দিতে তাঁরা সেখানে যান। গত ৮ সেপ্টেম্বর সেই সম্মেলন শেষ হয়। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ততক্ষণে নেপালের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে!
সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত অন্যদিকে দিনের পর সে দেশের মানুষের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একেবারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রতিবেশী দেশে। ফলে আর নেপাল ছেড়ে বেরনো হয় না বাংলা এবং আগরতলার চার গবেষকের। কাঠমান্ডুর পশুপতি নাথ মন্দিরের কাছে একটি হোটেলে আটকে রয়েছেন তাঁরা। বারোবিশার ছাত্রীর বাবা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, “আমরা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। পুলিশ প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করছে।”
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে উত্তরবঙ্গে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকা ও নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। পাশাপাশি, নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।