Travel

3 months ago

Malaysia: বড়ো ধামাকা ! নতুন বছরে ভিসা ছারাই ভ্রমম করতে পারবেন এই দেশ, জানেন কী?

Malaysia (Collected)
Malaysia (Collected)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে টাকা ছাড়াও জোগাড় করতে হয় পাসপোর্ট ভিসার মতো বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও অনুমতি পত্র। অনেকে আগে থেকেই পাসপোর্ট তৈরি করে রাখেন। কিন্তু এই ভিসা জোগাড় করতে অনেকটাই সময় লাগে। তাছাড়া এসব আবেদনের জন্য অনেক সময় বেশ ঝামেলাও পোহাতে হয়। ভিসা না পেয়ে বিদেশ ভ্রমণ বাতিল হয়েছে এমন কথাও শোনা যায়। তা যাই হোক ভিসা ছাড়াও অনেক দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। কিছু দেশ রয়েছে যেখানে ভারতীয়দের প্রবেশ করতে কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম এই ভিসাবিহীন দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো মালয়েশিয়াও।

কিছু সময়ের জন্য ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভিসা ফ্রি এন্ট্রি দিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এর অর্থ, কোনও পর্যটক মালয়েশিয়া জুড়ে ৩০ দিনের ভিসা ফ্রি ভ্রমণ করতে পারবেন। অফারটা নেহাত মন্দ নয়। মালয়েশিয়া একটি খুব সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র। এই দেশ তার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক জীবনের জন্য পরিচিত। কেউ যদি মালয়েশিয়া ঘুরে আসতে চান তাহলে তিনি এখানকার সেরা জায়গাগুলি ঘুরে দেখতে পারেন।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর খুবই সুন্দর একটি শহর। এখানে অনেক দর্শনীয় জায়গা আছে। রয়েছে ঘুরে দেখার বহু স্থানও। অত্যাধুনিক এই শহরটি তার সুস্বাদু খাবার, সুউচ্চ ইমারত, শপিং মল, বাজার এবং রাতের রঙিন জীবনের জন্য বিখ্যাত। এই শহরের বিখ্যাত পেট্রোনাস টাওয়ার থেকে শহরের একটি সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারেন।

শুধু তাই নয়, মেরডেকা স্কোয়ার, জাতীয় মসজিদ যেমন ঘুরে দেখতে পারেন, তেমনই পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারেন সেখানকার চায়নাটাউন এবং লিটল ইন্ডিয়ার জনাকীর্ণ রাস্তা। এই অভিজ্ঞতা কিন্তু চমৎকার হতে পারে। কেউ যদি কুয়ালালামপুরে যান, তাহলে রাস্তার পাশের স্টল থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্তোরাঁ পর্যন্ত সুস্বাদু সব খাবারের স্বাদ নিতে যেন ভুলবেন না।

এছাড়া রয়েছে ল্যাঙ্কাউই, ল্যাঙ্কাউই হল ৯৯টি দ্বীপের একটি সংগঠন, যা সারা বিশ্বের প্রকৃতিপ্রেমী এবং সমুদ্র সৈকত প্রেমীদের কাছে স্বর্গের চেয়ে কম কিছু নয়। আপনি যদি ল্যাঙ্কাউই-এর গোটা দৃশ্য দেখতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কেবল কারে চড়ে গুনুং মাত সিন কাং-এর চূড়ায় যেতে হবে। সেখানে আপনি কিলিম কার্স্ট জিও ফরেস্ট পার্কের ম্যানগ্রোভ বনও ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়াও, চেনাং বিচের পাউডার বালিতে হাঁটতে হাঁটতে দারুণ আরাম পাবেন। মোটামুটি ভালোমতো ল্যাঙ্কাউইয়ের প্রধান আকর্ষণীয় স্থানগুলি দেখতে ২ থেকে ৩ দিন লাগতে পারে। 

দেখতে পারেন বুকেত বারোরা, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত পেনাং পাহাড়টি বুকেত বারোরা নামেও পরিচিত। এটি মালয়েশিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। অনেকেই জানেন না, তবে পেনাং মালয়েশিয়ার প্রথম আন-অফিসিয়াল হিল স্টেশন। একে বলা হয় খাদ্য সামগ্রীর স্বর্গ। 'পার্ল অফ দ্য ওরিয়েন্ট' বা 'প্রাচ্যের মুক্তা' নামে পরিচিত, পেনাং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় বিরজ করছে স্বমহিমায়। এই স্থান তার সংরক্ষিত ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং স্ট্রিট আর্টের জন্য বিখ্যাত। এখানে আপনি প্রাচীন টেম্পল-বিচ এবং পেনাং হিল ফিনিকুলার রেলওয়েতে রাইড উপভোগ করতে পারবেন। 

 আর দেখতে পারেন মালাক্কা। মালাক্কা মালয়েশিয়ার একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি মালাক্কা প্রণালীর উপকূলে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত, এর উপকূলে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ। জোঙ্কার ওয়াকের সরু রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো এখানে আসা পর্যটকদের কাছে দারুণ রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। ডাচ স্কয়ার-ক্রিস্ট চার্চ, সুলতানি প্রাসাদ এবং ফামোসা ফোর্টও এখানকার দেখার মতো জায়গা। আপনি যদি এই শহরের সমৃদ্ধ ইতিহাস দেখতে চান তবে এর জাদুঘর এবং মন্দিরগুলি কিন্তু মিস করবেন না। 

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মালেশিয়ার বোর্নিও।  এই স্থান অনন্য সব বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ। অরণ্যে যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাঁদের অবশ্যই বোর্নিও দেখার পরিকল্পনা করা উচিত। এছাড়াও বোর্নিওর আশেপাশে রয়েছে অনেক ছোটো ছোটো এবং ছবির মতো সুন্দর দ্বীপ।

এখানে আপনি ওরাং ওটাং এবং পিগমি হাতির মতো বিরল প্রজাতির প্রানীকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন। ইউনেস্কোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কিনাবালু পার্ক এখানকার সেরা জায়গা। এছাড়াও আপনি বিশ্ব বিখ্যাত সিপাদান ওয়াটারে ডাইভিং করতে পারেন।

You might also like!