দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মহাভারত অনুসারে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পাণ্ডবরা যখন স্বর্গের পথে যাচ্ছিলেন, তখন উত্তরাখণ্ডের নানা জায়গা দিয়ে তাঁদের যেতে হয়েছিল। এমনই এক জায়গা বদ্রীনাথ মন্দিরের কাছে মানা গ্রাম। ভারত-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দেশের শেষ গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হত। তবে এখন এই গ্রামকে ভারতের প্রথম গ্রাম বলা হয়। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই গ্রামের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে ধর্মীয় কারণেও মানা গ্রাম বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই গ্রামেই সরস্বতী নদীর উৎসস্থল। এখানে সরস্বতী ও অলকানন্দা নদী মিলিত হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও এই গ্রামের সম্পদ। প্রকৃতির অপার সম্পদ এই গ্রামে বিদ্যমান।
মানা গ্রামে মহাভারতের ছোঁয়া
মানা গ্রামে গেলেই মনে হয়, টাইম মেশিনে যেন কয়েক হাজার বছর পিছিয়ে গিয়েছে সময়। ঠিক যেন মহাভারতের যুগে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। পাণ্ডবরা এই গ্রামের পথ দিয়েই স্বর্গের দিকে গিয়েছিলেন বলে মহাভারতে উল্লেখ করা হয়েছে। সরস্বতী নদীর উপর ভীমের তৈরি একটি সেতুও আছে। সরস্বতী নদীর পাড়ে বিশাল পায়ের ছাপ দেখা যায়। এই পায়ের ছাপ ভীমের বলে বিশ্বাস পুণ্যার্থীদের। স্থানীয় বাসিন্দারা ভীমের মন্দিরও তৈরি করেছেন।
মহাভারত লেখা হয় মানা গ্রামেই
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, মানা গ্রামেই একটি গুহায় বসে মহাভারত রচনা করেন ব্যাসদেব। তাঁর মুখ থেকে শুনে মহাভারত লিপিবদ্ধ করেন গণেশ। মানা গ্রামে ব্যাসদেব ও গণেশের স্মৃতিবিজড়িত গুহা আছে। ব্যাসদেব সরস্বতী নদীতে স্নান করেছিলেন বলে কথিত। মানা গ্রামে একটি জলপ্রপাত আছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই জলপ্রপাতের জল শুধু পুণ্যবান ব্যক্তিদের শরীরই স্পর্শ করে। ফলে পুণ্যার্থীদের অনেকেই সরস্বতী নদী ও বসুধারা জলপ্রপাতে স্নান করেন।