দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উচ্চমাধ্যমিকে জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশন (সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন) পরীক্ষা হল আজ। এবার কেমন প্রশ্ন হয়েছে, তা জানালেন কলকাতার একটি প্রথমসারির কলেজের জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশনের শিক্ষক সম্প্রীতি মুখোপাধ্যায়।
আজ উচ্চমাধ্যমিকে জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশন (সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন) পরীক্ষা হল। আর সেই পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন করা হয়েছে, তা ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে জানালেন কলকাতার একটি প্রথমসারির কলেজের জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশনের শিক্ষক সম্প্রীতি মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এবার অত্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন হয়েছে। একদিকে যেমন খুঁটিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তেমনই পরীক্ষার্থীদের বাহ্যিক জ্ঞান যাচাই করা হয়েছে। যা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একেবারে স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, ‘জার্নালিজম নিয়ে পড়াশোনা করার মূল শর্ত হল যে একেবারে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। এবারের উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নেও সেই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। থিওরি হোক বা মডেল হোক- সব বিভাগের ক্ষেত্রেই সেটা প্রয়োজ্য।’
প্রশ্নপত্র থেকে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশনের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এবার একটা প্রশ্ন এসেছে যে বৈদ্যুতিন গণমাধ্যম প্রসঙ্গে মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ কথাটি কে বলেছিলেন। পড়ুয়ারা যদি খুঁটিয়ে না পড়ে, তাহলে এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। তাদের খুঁটিয়ে বই পড়তে হবে। আবার একটি নির্দিষ্ট সংবাদপত্রের ক্রোড়পত্রের নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোন সংবাদপত্রের সঙ্গে সেটি প্রকাশিত হয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। নিয়মিত খবর না পড়লে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। কীরকম খবর প্রকাশিত হচ্ছে, সেটা নিয়মিত না পড়লে এরকম কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মুশকিল।’
তাঁর মতে, সার্বিকভাবে যে প্রশ্ন এসেছে, তাতে জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশনের শিক্ষক হয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। গতবারের থেকেও তিনি বেশি নম্বর দিয়েছেন এবারের প্রশ্নপত্রকে। তাঁর কথায়, ‘এবার মডেল এবং থিওরি থেকে বেশ স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন এসেছে। শ্যানন ও উইভার মডেল এসেছে। হাইপো-ডারমিক নিডল থিওরি থেকে প্রশ্ন এসেছে। অ্যাজেন্ডা সেটিং থিওরি এসেছে। সবমিলিয়ে এবারের প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে যে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এরকমই প্রশ্ন হওয়া উচিত। খুব ভালো মানের প্রশ্ন করা হয়েছে। আগেরবারের থেকেও এবারের প্রশ্নের মান আরও ভালো হয়েছে। মাস কমিউনিকেশনের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।’