দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন এক কৃষক। ধান চাষ করে মিলছে না লাভজনক দাম। এক বিঘা ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তার তুলনায় লাভ তেমন হয় না বললেই চলে। তবে ধান চাষ না করে বাড়িতেই এক ব্যক্তি বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন মুসম্বি লেবু। আর তার থেকে লাভও পাচ্ছেন বেশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাকলসা এলাকার সন্তোষ মাঝি ধান চাষের পরিবর্তে লেবুর চাষ করেছেন। জানা গিয়েছে, তিনি বাড়িতে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি লাগিয়েছেন মুসম্বি লেবুও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তিনি এই মুসম্বির চারা এনে লাগিয়েছেন।বছর দুয়েক ধরে তিনি চাষ করছেন এই লেবুর । প্রতিবছরই বেশ ভাল ফলন মেলে এই মুসম্বি লেবু চাষ করে। মুসম্বি চাষ করতে তার ২৫ হাজার টাকা খরচ হলে এক বছরে তিনি পেয়েছেন দেড় লক্ষ টাকা। এতে উৎসাহিত হচ্ছে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কৃষকেরা।
মুসম্বি লেবুর চাহিদা এখন ব্যাপক। ফলে বাজার পেতে কোনো অসুবিধা নেই। জানা গিয়েছে মুসম্বি পাকা শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে এবং ওই মাসের শেষে ফল পাড়া শেষ হয়ে যায়। ফলের রং যখন হলদে ভাব এলেই ফল পাকা শুরু হয়ে যায়। ফল পাকা শুরু হলেই গাছ থেকে ফল পেড়ে নিতে হয়। না হলে ফলের ঔৎকর্ষ কমে। সাত-আট বছরের একটি গাছ থেকে ৩০০-৫০০ ফল পাওয়া যায়। এক-একটি গাছ ১৮-২০ বছর অবধি ভাল ফলন দেয়।
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই ব্যক্তি লেবুর চাষ করে বাড়তি রোজগার পাচ্ছেন। চাষ করা এই মুসম্বি বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজার কিংবা পাইকারি দরেও। তবে এ বছর শিলাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হলেও ধান চাষের তুলনায় অধিক লাভজনক এই মুসম্বি লেবু চাষ।