Life Style News

6 months ago

Neuralink: তরুণের মগজে চিপ বসিয়েছে মাস্কের সংস্থা! সাফল্যের মাঝে হঠাৎই ‘অশনি সংকেত’

Neuralink
Neuralink

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা Neuralink। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের দুনিয়ায়। প্রাথমিক ভাবে জানাও গিয়েছিল, সেই ব্যক্তি তাঁর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! কিন্তু এবার নিউরোলিঙ্কের তরফে জানানো হল, এই ইমপ্লান্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

কী সমস্যা? বুধবার সংস্থার ব্লগ পোস্টে জানানো হয়েছে, ডিভাইসটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। কেন এমন হল? বলা হচ্ছে, যে ৬৪টি ‘থ্রেড’ তথা চুলের চেয়েও সরু যে অংশগুলি ওই চিপের সঙ্গে আবদ্ধ ছিল তার মধ্যে বেশ কিছু ইতিমধ্যেই ছিন্ন হয়েছে। তবে কতগুলি থ্রেড ছিঁড়েছে তা বলা হয়নি।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এর ফলে ওই তরুণের শারীরিক কোনও ক্ষতি হবে না তো? তেমন সমস্যা হলে চিপটা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সংকেত মেলেনি যা ইঙ্গিত করছে সরাসরি তরুণের শরীরে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সপ্তাহের সাধারণ দিনে ৮ ঘণ্টা ও সপ্তাহান্তে ১০ ঘণ্টা দিব্যি কম্পিউটারে বসে মস্তিষ্কের চিপের সাহায্য়ে তিনি কাজ করছেন বলেও জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে স্থাপিত নিউরোলিঙ্ক নামের সংস্থাটি মানুষের মস্তিষ্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) প্রয়োগ নিয়ে কাজ করছে। ২০২১ সালে নিউরোলিঙ্ক জানিয়েছিল, তারা দুটি বাঁদরের মস্তিষ্কে এই চিপ প্রতিস্থাপন করে পরীক্ষা চালিয়েছে। এদিকে নোল্যান্ড নাম্নী ওই তরুণ আট বছর আগে এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। চোট পান মেরুদণ্ডে। গত জানুয়ারিতে তাঁর মস্তিষ্কে বসানো হয় চিপ। যার ফলে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে আর একধাপ এগিয়ে গিয়েছে মাস্কের সংস্থা।

You might also like!