দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েক বছরে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। যদিও জীবন অনেকখানি ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে দৌড়ানো, সাইকেল চালানো এবং জিমে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছেন প্রায় সকলেই।
ফিট থাকার জন্য সাইকেল চালানো খুবই উপকারী। ইদানীং তরুণ প্রজন্ম তাদের ওয়ার্কআউট রুটিনে বেছে নিচ্ছে। আসলে সাইকেল চালানো খুবই উপকারী। এতে অনেক সুফল পাওয়া যায়। তবে সাইক্লিং ওয়ার্কআউট সম্পর্কে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। যেমন, সাইকেল চালালে কী উপকার হতে পারে? কখন সাইকেল চালানো উচিত? কতদিনের জন্য এবং কীভাবে এটি করতে হবে ইত্যাদি।
ছত্তিশগড় মেডিক্যাল কলেজের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. পবনকুমার পটেল জানান, সাইকেল চালানো অন্য ব্যায়ামের চেয়ে খানিকটা হলেও ভাল। যদি কোনও ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে তাঁর শরীরকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে বলতেই হবে, হাঁটা শুধুমাত্র তার পেশী এবং রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে।
কিন্তু সাইকেল চালানো এমন একটি ব্যায়াম যা একজন ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সুপ্রভাব ফেলে। ডা. পবনকুমার পটেল বলেন, সাইকেল চালানো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে প্রভাবিত করে। এর প্রথম প্রভাব পড়ে পেশীতে। মাংসপেশীতে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ পুড়ে যায়। মাংসপেশীর পর রক্তে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলিও বের হয়ে যায়। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরলও পুড়ে যায়।
এ ছাড়া সাইকেল চালানোর প্রধান উপকার হচ্ছে ফ্যাট বার্নিং। একজন মানুষ প্রতিদিন সাইকেল চালালে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল কমে যায় এবং তখন শরীরের চর্বি জ্বলতে থাকে। তাই কেউ যদি চর্বি ঝরাতে চান, তবে তাঁর উচিত প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট সাইকেল চালানো। এতে হৃদযন্ত্র এবং মনও সুস্থ থাকবে।
শারীরিক আলস্য হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্ত চলাচলের উন্নতি হয় এবং হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
শুধু তাই নয়, একজন যখন সাইকেল চালান, তখন তাঁর লক্ষ্য থাকে রাস্তায়। এতে তাঁর একাগ্রতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। সাইকেল চালানো মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে সাইকেল চালানোকে অন্তর্ভুক্ত করে নিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, জীবনে সন্তুষ্টি আসে।