জোয়ান গাছের যত্ন- বেশি কিছু করতে হবে না, জোয়ান গাছ গরমের দিনে বাড়িতে এমন জায়গায় পুঁতে ফেলুন, যে জায়গা স্যাঁতস্যাঁতে নয়। ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জোয়ান গাছ খুব ভালো হয়। গাছের ওপর থেকে বেশি জল দেবেন না। গাছের তলার মাটি ভিজিয়ে দিয়ে, দিতে হবে জল। সামান্য যত্ন নিলেই তড়বড়িয়ে বেড়ে যায় জোয়ান গাছ। তবে খেয়াল রাখতে হবে পাতায় কীটপতঙ্গ লাগছে কি না।
জোয়ান পাতার পরোটা- বাড়িতে জোয়ান গাছ ডাল পুঁতে বা নার্সারি থেকে চারা এনে পুঁতে ফেলতে পারেন। গাছ সামান্য বড় হলে, তার কচি পাতা তুলে নাকের কাছে ধরলেই মোহিত হয়ে যাবেন পাতার গন্ধে। এই পাতা দিয়েই সহজে তৈরি করা যায় পরোটা। দেখে নেওয়া যাক, তার রেসিপি।
জোয়ান পাতার পরোটার রেসিপি- কচি থেকে জোয়ান পাতা নিন। এরপর তা কুচি কুচি করে কেটে নিন। আপনি চাইলে পাতা ভাপিয়ে নিতে পারেন। তবে তাতে গন্ধ বা স্বাদ মনের মতো হবে না। পাতার সঙ্গে আটা, লঙ্কা (লঙ্কা গুঁড়োও নিতে পারেন), চাইলে নিতে পারেন সামান্য হলুদ, জিরে পাউডার, চাইলে দিতে পারেন সামান্য গরম মশলা, নুন। এরপর জল দিয়ে যেমন পরোটা মাখেন ও তা লেচি করে যেমন পরোটা বেলে নেন, সেভাবেই বাকি অংশ টুকু করে নিয়ে তেল বা ঘিতে পরোটা ভাজতে পারেন। টিপস- পরোটা পাতলা করে বেলে নিলে স্বাদ মনের মতো হবে।
জোয়ান পাতার পকোড়া- বর্ষার বিকেলে, কিম্বা গরমের দিনে কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পর জোয়ান পাতার পকোড়া মন মজিয়ে দিতে পারে! এই পকোড়া বানানো খুবই সোজা। এক্ষেত্রে গোটা একটা জোয়ান পাতা দিয়ে যদি একচা পকোড়া বানাতে চান, তাহলে মাঝারি মাপের বা কচি পাতা নিতে হবে। নয়তো কচি পাতা কুচিয়ে নিতে হবে। কবি জোয়ান পাতার গন্ধ ভালো। এরপর বেসন ও নুন, লঙ্কা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। অনেকে এই মিশ্রণে ইনো দিয়ে থাকেন, আবার অনেকে চালের গুঁড়োও দেন। আপনি আপনার মতো মিশ্রণ স্বাদ অনুযায়ী বানিয়ে নিতে পারেন। অনেক সময় এই মিশ্রণে দেওয়া থাকে জিরো গুঁড়ো। এরপর?
জোয়ান পাতার পকোড়ার রেসিপি- এরপর গোটা পাতা ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে তা ভাজতে পারেন, আবার পাতা কুচি কুচি করে কেটেও ভাজতে পারেন ছাঁকা তেলে। গোটা পাতা দিয়ে এই পকোড়া ভাজলে, তা পাতার আকারের শেপ নেয়। ফলে, যত্ন নিয়ে ভাজলে পকোড়া হার্ট শেপেরও হয়ে যায়। খুব সহজে বাড়িতে জোয়ান পাকার গাছ লাগিয়ে এই সুস্বাদু পদ গুলি খেতে পারবেন। যে গাছের যত্ন নিতেও বেশি হ্যাপা পোহাতে হয় না।