দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই শরীরকে সুস্থ এবং চনমনে রাখার জন্যে। আগামী দিন কাজে যেন পর্যাপ্ত এনার্জি পাওয়া যায়, সেকারণে আগের দিন রাতে প্রয়োজনীয় ঘুম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা সবার জানা থাকলেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না৷ শরীরের উপর এর মারাত্মক প্রভাবও পড়ে৷ ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কে কী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, বহুবার বিভিন্ন জায়গায় তা উল্লেখ করেছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা৷
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, হায়দরাবাদের অ্যাপলো হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুধীর কুমার ঘুমের ঘাটতি এবং তার ক্ষতিকারক দিক নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন৷ চিকিৎসকের ওই পোস্টটি যথেষ্ট ভাইরালও হয়েছে৷
ওই পোস্টে সুধীর কুমার দাবি করেছেন, যদি আপনি মাত্র ১ ঘণ্টা কম ঘুমোন, তাহলে তা পূরণ হতে চার দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে৷ কম ঘুম থেকে মাথা ধরা, মনসংযোগে ব্যাঘাত, খিটখিটে মেজাজ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
কোন বয়সে কত ঘণ্টার ঘুম?
এক্স হ্যান্ডেলে করা ওই চিকিৎসকের এই পোস্ট ভাইরাল হতেই বহু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জীবনযাত্রায় জটিলতার কারণে কম ঘুমের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত অথবা অন্যান্য চাপের কারণে বর্তমান সময়ে ঠিক মতো ঘুমনো শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ একজন তো চিকিৎসক সুধীর কুমারের কাছে জানতে চান, বয়স অনুযায়ী কার কতটা ঘুমনো উচিত?
জবাবে এক শিক্ষক জানান, ‘একটি সদ্যোজাত শিশুর (০ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত) প্রতিদিন গড়ে ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন৷ ৪ থেকে ১২ মাস বয়সি শিশুদের দিন রাত মিলিয়ে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমনো উচিত৷ ১ থেকে ৫ বছর বয়সিদের ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা, ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি স্কুল পড়ুয়াদের ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকের দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমনো উচিত৷’
আর একজন আবার ওই চিকিৎসকের কাছে জানতে, রাতে ঘুম কম হলে দিনের বেলা ঘুমিয়ে নিলে সেই ঘাটতি পূরণ হয় কি না৷ জবাবে সুধীর কুমার জানান, রাতে একটানা ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার ঘুমই সবথেকে ভাল৷ কিন্তু একান্তই তা সম্ভব না হলে দিনের বেলা কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়৷